শিরোনাম
শুক্রবার, ১৭ এপ্রিল, ২০২০ ০০:০০ টা
লকডাউন মানছেই না কেউ

সচেতনতা বাড়ছে না, ঝুঁকিতে রাজশাহী

কাজী শাহেদ, রাজশাহী

সচেতনতা বাড়ছে না, ঝুঁকিতে রাজশাহী

সচেতনতা বাড়ছে না রাজশাহীতে। সুযোগ পেলেই ঘরের বাইরে বেরিয়ে আসছেন সাধারণ মানুষ। রাস্তাঘাট বাজার কারণে অকারণে লোকজনের ভিড় বাড়ছেই। তার ওপরে লকডাউনের মধ্যেও রাজশাহী শহর থেকে গ্রাম সবখানেই ছড়িয়ে-ছিটিয়ে  গেছে প্রবাসীরা। এমন উ™ভূত পরিস্থিতিতে প্রবাসীদের নিয়ন্ত্রণ ও হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখার জন্য রাজশাহী জেলা প্রশাসন মাঠে নামে। জরিমানা করা হয় প্রায় শতাধিক প্রবাসীকে। এ ছাড়াও প্রবাসীদের খুঁজতে মাঠে নামে প্রশাসন। প্রবাসীদের খুঁজতে মাঠে নেমে চরম বিড়ম্বনায় পড়ে জেলা প্রশাসন। এতে এ অঞ্চলে কতজন প্রবাসী আছে তার সঠিক হিসাব পাওয়া যায়নি। তবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তালিকা অনুযায়ী- রাজশাহী জেলায় আসেন প্রায় তিন হাজার প্রবাসী। যাদের মধ্যে কোয়ারেন্টাইনে নেওয়া হয় হাজারখানেক। বাকি প্রায় দুই হাজার প্রবাসীর হদিস করতে পারেনি প্রশাসন। প্রবাসীদের পর এবার ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ ও গাজীপুর থেকে আসা লোকজন রাজশাহীতে করোনা আতঙ্ক বাড়িয়ে দিয়েছে। যার কারণে তাদের খুঁজতে এবার মাঠে নেমেছে রাজশাহীর জেলা প্রশাসন। মূলত ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ ও গাজীপুর থেকে রাজশাহীতে যারা এসেছেন তাদের মধ্যে বেশির ভাগই গার্মেন্ট কর্মী। এ ছাড়াও আছে বিভিন্ন যানবাহনের শ্রমিক। রাজশাহীর সিভিল সার্জন ডা. এনামুল হক বলেন, সম্প্রতি দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে যারা রাজশাহী এসেছেন তাদের খুঁজে বের করা হচ্ছে। বিশেষ করে ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ ও গাজীপুর থেকে যারা এসেছেন তাদের ব্যাপারে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। তাদের খুঁজে বের করে কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিত করা না হলে এ জেলাতেও করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়তে পারে। এজন্য তারা যেন পুলিশ বা স্বাস্থ্যকর্মীদের জানিয়ে স্বেচ্ছায় কোয়ারেন্টাইনে চলে যান।

ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ ও গাজীপুর এলাকা থেকে আগতদের প্রতিবেশীদেরও সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে তাদের সম্পর্কে তথ্য দেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন এই স্বাস্থ্য কর্মকর্তা।

রাজশাহীতে করোনা শনাক্ত তিনজনের মধ্যে দুজন পুঠিয়া উপজেলার ও অপরজন বাগমারা উপজেলার বাসিন্দা। এদের মধ্যে দুজন নারায়ণগঞ্জ ফেরত। অন্যজন ঢাকার শ্যামলী থেকে রাজশাহীতে এসেছেন।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর