ফরিদপুরে দুস্থদের জন্য খাদ্য কর্মসূচি ‘ভালনারেবল গ্রুপ ফিডিং’ (ভিজিএফ) তালিকায় ইউপি সদস্য তার নিজের স্ত্রী, দুই ছেলে ও ভাইয়ের নাম ওঠানোয় এলাকায় ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, এই অন্যায়ের পেছনে ইউপি চেয়ারম্যানের হাত রয়েছে। জানা গেছে, নগরকান্দা উপজেলার কাইচাইল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কবির হোসেন ঠান্ডু বর্তমান করোনাভাইরাস পরিস্থিতি মোকাবিলায় ত্রাণের জন্য এ ভিজিএফ তালিকা করেন। তালিকায় ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য জাহাঙ্গীর হোসেনের স্ত্রী, দুই ছেলে, আপন ভাই ও তার স্ত্রীর নাম রয়েছে। জাহাঙ্গীর হোসেনের স্ত্রী মাহফুজা বেগমের নাম রয়েছে ২৭১ নম্বরে। দুই ছেলে সাব্বির ২৬৭ ও ওমর সানি ২৬৮ নম্বরে। সম্প্রতি দেশে ফিরে আসা ইউপি সদস্যের ভাই বাবলু ও তার স্ত্রী রোজীর নাম যথাক্রমে ২৬৯ ও ২৭০ নম্বরে।
ইউপি সদস্য জাহাঙ্গীর হোসেন সচ্ছল। তার বেশ জায়গাজমি রয়েছে। এ ছাড়া তার ভাই বাবলুর বাড়িতে আছে পাকা দালান এবং ৫ বিঘার একটি বিশাল পুকুর। যেখানে মাছ চাষ করে বছরে কয়েক লাখ টাকা আয় করেন। স্থানীয়রা বলেন, ইউপি সদস্য তিন দিন আগেও দুই বস্তা চাল বিক্রি করে দিয়েছেন। তিনি গরিবের হক নষ্ট করে নিজেরাই ভাগ করে খাচ্ছেন। তদন্ত করে ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে জেলা প্রশাসকের কাছে দাবি জানান তারা।ইউপি সদস্য জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, খুব খারাপ অবস্থার মধ্যে আছি। স্ত্রী, পুত্রদের নাম দিয়েছি যদি তারা কিছু পায়। আমার ভাই বিদেশ থেকে দেশে এসে খুব অসহায় হয়ে পড়েছে। তালিকায় তাদের নাম দিয়ে রেখেছি যদি সরকার কোনো কিছু দেয়।
কাইচাইল ইউপি চেয়ারম্যান কবির হোসেন ঠান্ডু বলেন, তার ইউনিয়ন থেকে ১ হাজার ৯০০ ব্যক্তির তালিকা করা হয়েছে। দ্রুত তালিকা করার কারণেই ভুলে অনেক নাম চলে এসেছে। তবে যাচাই-বাছাই করে উপযুক্ত ব্যক্তিদেরই ত্রাণ দেওয়া হবে।