করোনাভাইরাস সংক্রমণ পরিস্থিতির উন্নতি হলে তৈরি পোশাকশিল্প কারখানাসমূহ খুলে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুত ও রপ্তানিকারক সমিতি-বিজিএমইএ। সংগঠনটি বলেছে, সংগঠনের সদস্য কারখানা খোলা রাখার বিষয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রচারিত হচ্ছে। এ ব্যাপারে বিজিএমইএর অবস্থান অত্যন্ত স্পষ্ট। কারখানা চালু করার আগে নিজেদের সুস্থ ও নিরাপদ রাখতে হবে। যদি সার্বিকভাবে করোনা পরিস্থিতির উন্নতি হয়, তাহলে সঠিক সময়ে কারখানাগুলো খুলে দেওয়া হবে। এ মুহূর্তে বিজিএমইএর প্রথম ও একমাত্র অগ্রাধিকার হচ্ছে, শ্রমিক ভাই-বোনদের স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।

বিজিএমইএ সচিব মোহাম্মদ আবদুর রাজ্জাক স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়ে আরও বলা হয়, করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে সরকার ঘোষিত সাধারণ ছুটি শুরু হওয়ার পর বিজিএমইএ তাদের সদস্যদের কারখানা ৪ এপ্রিল পর্যন্ত বন্ধ রাখার অনুরোধ করে। সে অনুরোধ মেনে অনেক সদস্য কারখানা বন্ধ রাখে। তবে অনেকে আবার উৎপাদন চালু রাখে। ৫ এপ্রিল বন্ধ কারখানা চালু হওয়ার কথা ছিল। সেজন্য করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি নিয়েই দূরদূরান্ত থেকে শ্রমিকরা শিল্পাঞ্চলে ফিরতে থাকেন। বিষয়টি নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা হয়। পরে সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী ৬ এপ্রিল বৈঠক করে বিজিএমইএ ও বিকেএমইএ যৌথভাবে ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত কারখানা বন্ধ রাখার ঘোষণা দেয়। পরে সরকারি ছুটি বৃদ্ধি করা হলে তার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে কারখানা বন্ধের সময়সীমা ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত বর্ধিত করে বিজিএমইএ ও বিকেএমইএ।