রবিবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২০ ০০:০০ টা

রাজশাহী মেডিকেলে দুই বছর প্যাকেটবন্দী পিসিআর মেশিন

কাজী শাহেদ, রাজশাহী

সংক্রমণ রোগ নির্ণয়ের জন্য ২০১৮ সালের মে মাসে স্বাস্থ্য অধিদফতরের কেন্দ্রীয় ভান্ডার থেকে প্রায় কোটি টাকা মূল্যের একটি পিসিআর (পলিমার্স চেইন রিঅ্যাকশন) মেশিন ও আনুষঙ্গিক সরঞ্জাম সরবরাহ করা হয় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালকে। মেশিনটি গত দুই বছর প্যাকেটবন্দী পড়ে আছে। বাস্তবতা হলো, গত দুই বছরেও মূল্যবান এ মেশিনটি স্থাপনের উদ্যোগ দূরের কথা, কাউকে জানতেও দেয়নি কর্তৃপক্ষ।                বিষয়টি জানার পর এনিয়ে ক্ষোভ ছড়িয়েছে ভুক্তভোগী মানুষসহ চিকিৎসক মহলেও। তারা বলছেন, করোনার এ মহাদুর্যোগে আগে স্থাপন করা থাকলে মেশিনটি কাজে আসত। যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি এ মেশিনটির দাম কোটি টাকার বেশি। এদিকে দেশে করোনার প্রাদুর্ভাবে রাজশাহী অঞ্চলেও আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তে থাকায় নতুন আরেকটি পিসিআর মেশিন স্থাপনের বিষয়ে তাগিদ দেন বিভাগীয় কমিশনার। ১৩ এপ্রিলের বিভাগীয় করোনা সমন্বয় সভায় দুই বছর আগে থেকে পড়ে থাকা পিসিআর মেশিনটির কথা নিজেই প্রকাশ করেন হাসপাতালের পরিচালক। অবহেলায় পড়ে থাকা মেশিনটি এখন রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বহির্বিভাগে স্থাপনের উদ্যোগ চলছে। এটি স্থাপিত হলে রাজশাহীতে করোনা ল্যাবের সংখ্যা হবে দুটি। তবে গত দুই বছর ধরে পড়ে থাকা পিসিআর মেশিনটি কার্যক্ষম আছে কি-না তা নিয়ে সংশয়ে আছেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা। তারা বলছেন, এটি একমাত্র হাসপাতাল কর্তৃপক্ষেরই গাফিলতি। ১৩ এপ্রিল রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনারের দফতরে বিভাগীয় করোনা প্রতিরোধে গঠিত টাস্কফোর্সের সভায় পড়ে থাকা পিসিআর মেশিনটি হাসপাতালের আউটডোরে স্থাপনের সিদ্ধান্ত হয়। এ বিষয়ে গণপূর্ত বিভাগকে দ্রুত সময়ের মধ্যে মেশিনটি স্থাপনের জন্য আউটডোরের চারটি কক্ষ বিশেষভাবে নিরাপত্তামূলক সজ্জিতকরণ ও উপযোগী করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

তবে হাসপাতালের আউটডোরের মতো জনাকীর্ণ এলাকায় অতি স্পর্শকাতর পিসিআর মেশিনটি স্থাপন নিয়ে প্যাথলজিস্টদের মাঝে দ্বিমত তৈরি হয়েছে। তারপরও সেটি স্থাপন হবে সেখানেই।

রামেক হাসপাতালের সহকারী পরিচালক (প্রশাসন) ডা. আবদুল হান্নান বলেন, ‘মেশিনটি অনেক আগে এসেছে। আমি কয়েক মাস আগে এখানে এসেছি। অনেক কিছুই আমার জানা নেই।’

আউটডোর প্যাথলজির সিনিয়র কনসালট্যান্ট ডা. বিমল বসু বলেন, পিসিআর মেশিনটি আউটডোরেই বসবে। তবে আউটডোরে আসা রোগীদের নিরাপত্তা ঝুঁকি থাকবেই। দ্বিতীয় ল্যাবটিও কলেজের ভাইরোলজি বিভাগে হলেই ভালো হতো। সেখানে জায়গা সংকটের কারণেই এটি আউটডোরে বসছে বলে জেনেছি। তবে দ্বিতীয় ল্যাবটি ভাইরোলজি বিভাগের কার নেতৃত্বে পরিচালিত হবে সেটা ঠিক করবেন মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর