বুধবার, ২২ এপ্রিল, ২০২০ ০০:০০ টা

বহিরাগতরা নজরদারিতে, বাড়ছে ঝুঁকি

পণ্যবাহী গাড়ি ও অ্যাম্বুলেন্সে যাচ্ছে মানুষ

সামছুজ্জামান শাহীন, খুলনা

বহিরাগতরা নজরদারিতে, বাড়ছে ঝুঁকি

করোনায় আক্রান্ত খুলনা মেডিকেল কলেজের দুই সহযোগী অধ্যাপক প্রাইভেট প্র্যাকটিস করেন ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জে। গত ১০ এপ্রিল একই গাড়িতে করে তারা খুলনায় আসেন। তারপর থেকে তারা কলেজের গেস্ট হাউসে অন্য চিকিৎসকদের সঙ্গে অবস্থান করেন। গত ১৮ এপ্রিল ওই গেস্ট হাউসে থাকা কলেজের ইউরোলজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক করোনা শনাক্ত হলে টনক নড়ে কর্তৃপক্ষের। তড়িঘড়ি করে অন্য চিকিৎসকদের নমুনা পরীক্ষা করলে বাইরে থেকে আসা ওই দুই শিক্ষকও করোনা শনাক্ত হয়।

এদিকে ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জ থেকে আসা ওই শিক্ষকদের মাধ্যমে করোনা ছড়িয়েছে বলে ধারণা করছেন চিকিৎসকরা। এর আগে গত ১৩ এপ্রিল ঢাকা ও নরসিংদীর বিভিন্ন স্থানে ১২০ দিন তাবলিগে থাকার পর খুলনার করিমনগরে ফেরত আসা এক বৃদ্ধ করোনা শনাক্ত হয়। খুলনা সিভিল সার্জন ডা. সুজাত আহমেদ বলেন, করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের অধিকাংশই সম্প্রতি অন্য জেলা থেকে এখানে এসেছেন।

এতে সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ছে। ফলে বিশেষ করে করোনার কারণে লকডাউন করা এলাকা থেকে যারা আসছেন তাদের নজরদারিতে নেওয়া হচ্ছে। জানা যায়, গণপরিবহন বন্ধ থাকায় কৌশলে এসব মানুষ পণ্যবাহী গাড়ি ও অ্যাম্বুলেন্সে করে খুলনায় আসছেন। গত দুই দিনে বিভিন্ন জেলা থেকে এখানে আসা ২৬ ব্যক্তিকে চিহ্নিত করে কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিত করেছে পুলিশ। এদের মধ্যে ঢাকা, মাদারীপুর ও নারায়ণগঞ্জ থেকে আসা মানুষ রয়েছেন। ওইসব এলাকা অধিক ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় তারা বাড়িতে ফিরছেন বলে জানা গেছে।

জেলা সিভিল সার্জন অফিস জানায়, বিদেশফেরত ও অন্য জেলা থেকে আগত প্রায় ২ হাজার ১৩০ জনকে প্রাথমিক অবস্থায় কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। খুলনা বিভাগে এ সংখ্যা প্রায় ২০ হাজার।

এদের মধ্যে অধিকাংশ ১৪ দিনের কোয়ারেন্টাইন শেষ করলেও নতুন করে অন্য জেলা থেকে আসা ব্যক্তিরা ঝুঁকি তৈরি করছেন। খুলনা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হেলাল হোসেন বলেন, হঠাৎ করে অন্য জেলা থেকে আগতদের কারণে সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ছে। এ কারণে যারা অন্য জেলা থেকে আসছেন তাদের নজরদারিতে নেওয়া হয়েছে।

পাশাপাশি সংক্রমণ প্রতিরোধে ‘ডোন্ট মুভ’ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। অন্য জেলা থেকে কেউ আসতে পারবে না, আবার এখানকার কেউ অন্য জেলায় যাতায়াত করতে পারবে না।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর