শুক্রবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২০ ০০:০০ টা

ক্লিনিকপাড়া বন্ধ রাজশাহীতে, বিপাকে সাধারণ রোগীরা

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী

এখনো বন্ধ রাজশাহীর ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলো। বন্ধ রাখা হয়েছে চিকিৎসকদের চেম্বারও। করোনাভাইরাসের কারণে রাজশাহীর ছোট বড় প্রায় সব ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার এক মাস ধরে বন্ধ। এতে রোগীদের একমাত্র ভরসা হয়ে দাঁড়িয়েছে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল। রাজশাহীর দু’একটি ক্লিনিক বা ডায়াগনস্টিক সেন্টার খোলা হলেও রোগীর পরীক্ষা নিরীক্ষা করা হচ্ছে না। ক্লিনিকে শুধু সিজারিয়ান অপারেশন হচ্ছে। এ ছাড়া আর কোনো পরীক্ষা-নিরীক্ষা হচ্ছে না। ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মালিকরা বলছেন, রোগী নেই, চিকিৎসকরাও বসছেন না চেম্বারে। যার কারণে ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধ রাখা হয়েছে। আর চিকিৎসকরা বলছেন, যানবাহন বন্ধ থাকায় রোগী আসছে না। কোনো কোনো চিকিৎসক চেম্বারে বসলেও সেখানে রোগী আসে না। তবে হাসপাতালে সব ধরনের চিকিৎসা পুরোপুরি চালু আছে। জানা গেছে, রাজশাহীতে ছোটবড় মিলে সমিতিভুক্ত ১২০টি বেসরকারি ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার আছে। এসব বেসরকারি ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মালিকরা এক সময় রমরমা ব্যবসা করেছেন।

কিন্তু করোনাভাইরাস শনাক্ত হওয়ার পর একটি একটি করে এসব ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধ করে দেওয়া শুরু হয়। গত মাসের শেষের দিকে এসে প্রায় সব ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধ হয়ে যায়। ওই সময় থেকে চিকিৎসকদের প্রাইভেট প্র্যাকটিসও বন্ধ হয়ে যায়।

রাজশাহী মডেল হাসপাতালের ব্যবস্থাপক সৌরভ হোসেন জানান, তাদের হাসপাতাল স্বল্প পরিসরে খোলা রাখা হচ্ছে। কিন্তু যানবাহন চলাচল না করার জন্য রোগী হচ্ছে না। নগরীর আলট্রাপ্যাথ ডায়াগনস্টিক সেন্টারের স্বত্বাধিকারী পলাশ জানান, দিনে অর্ধশতাধিক রোগী রক্তসহ বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা হতো আগে। এখন দিনে দুটো রোগীও পাওয়া যায় না। রোগী না হলে কর্মচারীদের বেতন দেব কোথা থেকে? বেতন দেওয়ার ভয়েই বেসরকারি ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মালিকরা তাদের চিকিৎসা কেন্দ্র বন্ধ রেখেছেন।

 

এদিকে সাধারণ চিকিৎসা বন্ধ হয়ে যাওয়ার প্রেক্ষিতে স্থানীয় প্রশাসনও সমাধানের চেষ্টা করেছে। রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনও সাধারণ চিকিৎসা নিশ্চিত করার চেষ্টা করেন। তারা চিকিৎসকদের সঙ্গেও কথা বলেন। কিন্তু এখনো এর কোনো উন্নতি নেই।

রাজশাহী সিভিল সার্জন ডা. এনামুল হক জানান, বেসরকারি ক্লিনিক ও ডায়াগণস্টিক সেন্টার খুলে রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু মালিক পক্ষ খুলছেন না। যে দু’একটা খোলা আছে সেখানে রোগী নেই বলেও জানানো হচ্ছে। পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করে কোনো পদক্ষেপও নেওয়া যাচ্ছে না।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর