রবিবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২০ ০০:০০ টা

সুনামগঞ্জে করোনা চিকিৎসাব্যবস্থা আরও উন্নত করার চেষ্টা চলছে

-পীর মিসবাহ

নিজস্ব প্রতিবেদক

সুনামগঞ্জে করোনা চিকিৎসাব্যবস্থা আরও উন্নত করার চেষ্টা চলছে

সুনামগঞ্জে করোনাভাইরাস আক্রান্তদের চিকিৎসায় আধুনিক সরঞ্জামসহ ৫০ শয্যার বিশেষ ইউনিট গঠনের প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন সুনামগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য পীর ফজলুর রহমান মিসবাহ। গতকাল নিজের ফেসবুক ওয়ালে দেওয়া স্ট্যাটাসে এ তথ্য জানান তিনি।

তিনি বলেন, করোনা বিষয়ে স্বাস্থ্য বিভাগের সঙ্গে মতবিনিময় সভা করে সদর হাসপাতালের পুরনো ভবনে ১০০ শয্যার চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছিল। কিন্তু এটি স্বয়ংসম্পূর্ণ নয়। আধুনিক চিকিৎসা সরঞ্জামসহ ৫০ বেডের করোনা চিকিৎসার জন্য প্রস্তাব পাঠিয়েছি জেলা প্রশাসক ও সিভিল সার্জনের মাধ্যমে। তা বাস্তবায়নের জন্য কাজ করছি। আমি আশাবাদী এটি বাস্তবায়ন করতে পারব প্রধানমন্ত্রীর সহানুভূতির মাধ্যমে।

তিনি বলেন, সর্বশেষ ২৪ এপ্রিল সদর হাসপাতালের একজন ডাক্তারের শরীরে করোনা পজিটিভ এসেছে। সবাইকে অনুরোধ করব, স্বাস্থ্যসেবার প্রয়োজনে আপাতত হাসপাতালে যাওয়ার আগে ডাক্তারের সঙ্গে যোগাযোগ করে যাবেন।

পীর মিসবাহ তার ফেসবুকে লিখেছেন, আগাম বন্যার আশঙ্কায় দ্রুত ধান কাটা চলছে। দম ফেলার সুযোগ নেই সুনামগঞ্জের হাওরবাসীর। সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী বললেন বৃষ্টিপাত ২৭ এপ্রিল পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে। যে কারণে সিলেট, মৌলভীবাজার, কিশোরগঞ্জ ও হবিগঞ্জ জেলার নদীসমূহের পানি বিপদসীমা অতিক্রম করবে। সুনামগঞ্জে সুরমা নদীর পানি বিপদসীমার ৪ থেকে ৬ মিটার বৃদ্ধি পাবে। এটি নিশ্চয় আমাদের জন্য বিপদের। আশঙ্কার। নিকট অতীতেও সীমান্তের ওপার থেকে আসা পাহাড়ি ঢল আর সুরমার পাড় তলিয়ে ফসলহানি ঘটেছে। তিনি আরও লিখেছেন, এবার ফসল রক্ষার ডুবন্ত বাঁধ নির্মাণে সুনামগঞ্জে ব্যয় করা হয়েছে ১৩২ কোটি টাকা। পিআইসির মাধ্যমে এসব বাঁধের কাজ করানো হয়েছে। এত বিশাল অঙ্কের টাকার বাঁধ যেন পানির প্রথম স্পর্শেই তলিয়ে না যায়। ফাটল দিয়ে পানি প্রবেশ না করে। পানি উন্নয়ন বোর্ড পিআইসির সঙ্গে সক্রিয় থাকুন। এ ধান হাওরবাসীর প্রাণ। পীর মিসবাহ আরও লেখেন, প্রধানমন্ত্রীও ফসল নিরাপদ করার বিষয়ে আন্তরিক। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে নিয়মিত যোগাযোগ করা হচ্ছে স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে। ধান কাটা, মাড়াইয়ের জন্য জেলায় নতুন ৪০টি কম্বাইন্ড হারভেস্টার মেশিন দেওয়া হয়েছে। কৃষিমন্ত্রী ড. আবদুর রাজ্জাকের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি আন্তরিকতা নিয়ে এগিয়ে আসেন। তিনি বলেন, এবার ধান কাটা নিয়ে জেলার সকল শ্রেণি-পেশার মানুষ আন্তরিক ভূমিকা রাখছে। জেলা প্রশাসক আবদুল আহাদ প্রতিদিন হাওরে ছুটে যাচ্ছেন। তিনি আরও বলেন, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি এবং বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ হাওরে যাচ্ছেন। ছাত্র সংগঠন, যুব সংগঠন, স্বেচ্ছাসেবক পার্টি, স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতা-কর্মীরা অংশ নিচ্ছেন।

রোভার স্কাউট ছুটে গিয়ে কৃষকের ধান কেটে দিচ্ছে। আমার নির্বাচনী এলাকার ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানরা নিয়মিত শ্রমিকের বাইরে নিজেদের উদ্যোগে ধান কাটা শ্রমিক সংগ্রহ করেছেন। গ্রামপুলিশরা অংশ নিচ্ছেন ধান কাটায়। পুলিশ সুপার মিজানুর রহমানের উদ্যোগে শাল্লায় এক কৃষকের ধান কেটে দিয়েছে পুলিশ।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর