সোমবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২০ ০০:০০ টা

করোনার পর রমজানে আবার বাড়ল নিত্যপণ্যের দাম

খুচরা বিক্রেতারা দুষছেন পাইকারদের

রাহাত খান, বরিশাল

করোনার প্রভাবে এমনিতেই বাজারে সব জিনিসপত্রের দাম বাড়তি। এর ওপর পবিত্র মাহে রমজানকে কেন্দ্র করে বরিশালের বাজারে আরেক ধাপ বেড়েছে নিত্যপণ্যের দাম। চাল, ডাল, আলু, সয়াবিন তেল, পিয়াজ, চিনি, ছোলাসহ রমজানকেন্দ্রিক সব পণ্যের মূল্য বৃদ্ধিতে নাভিশ্বাস উঠেছে ক্রেতা সাধারণের। তবে দাম বৃদ্ধির সব দায় পাইকারদের ওপর চাপিয়েছেন খুচরা দোকানিরা। তারা পাইকারি ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেটকে দোষারোপ করেছেন। পাইকারি ব্যবসায়ীরা করোনার প্রভাবসহ পরিবহন সমস্যার কথা বলে দায় এড়ানোর চেষ্টা করেছেন। করোনা হানা দেওয়ার আগে বরিশালের খুচরা বাজারে প্রতি কেজি মোটা চাল বিক্রি হয়েছে ৩০ থেকে ৩৪ টাকা কেজি দরে। করোনা এবং সর্বশেষ রমজানকে কেন্দ্র করে দুই ধাপ বৃদ্ধির পর এখন বরিশালের খুচরা বাজারে প্রতি কেজি মোটা চাল বিক্রি হচ্ছে ৪৬ থেকে ৪৮ টাকায়।  একইভাবে ৪৪ টাকার চিকন চাল ৬০ টাকা, ৬০ টাকার মসুর ডাল ১০০ টাকা, ২২ টাকার আটা ২৬ টাকা, ১৯ টাকার আলু ২৫ টাকা, ৯২ টাকার সয়াবিন তেল ১০০ টাকা, ৫৫ টাকার চিনি ৬৬ টাকা, ৬০ টাকার ছোলা ৭৫ টাকা, ১১০ টাকার মুগডাল ১৬০ টাকা, ৩২ টাকার চিঁড়া ৬০ টাকা, ৭০ টাকার খেসারি ডাল ৯০ টাকা, ৬৫ টাকার গুড় ৮০ টাকা, ৫০ টাকার পিয়াজ ৬০ টাকা, ১১০ টাকার রসুন ১৬০ টাকা, ১৫০ টাকার কালিজিরা ৩০০ টাকা এবং ৯০ টাকার আদা বিক্রি হচ্ছে ৩০০ টাকা কেজি দরে। নিত্যপণ্যের অসহনীয় মূল্য বৃদ্ধিতে নাভিশ্বাস উঠেছে ক্রেতাদের। তারা বাজার মূল্য স্থিতিশীল রাখতে প্রশাসনকে কঠোর নজরদারির দাবি জানিয়েছেন। এদিকে খুচরা দোকানিরা নিত্যপণ্যের মূল্য বৃদ্ধির সমুদয় দায় চাপিয়েছেন পাইকারি ব্যবসায়ীদের ওপর।

তারা বলেন, পাইকারদের কাছ থেকে পণ্য কিনে সামান্য লাভে ক্রেতার কাছে বিক্রি করেন তারা। পাইকাররা সিন্ডিকেট করে ইচ্ছামতো দাম নিয়ন্ত্রণ করে বলে অভিযোগ খুচরা দোকানিদের। অন্যদিকে পাইকারি ব্যবসায়ীরা দাম বৃদ্ধির অজুহাত হিসেবে করোনার প্রভাব, পরিবহন সমস্যাসহ নানা সংকটের কথা জানিয়েছেন।

বাজার রোডের মুদি ব্যবসায়ী মো. জহিরুল ইসলাম বলেন, নিত্যপণ্য আনা-নেওয়া, পরিবহন এবং কৃত্রিম সংকটের কারণে দাম বাড়ে। পণ্যের সংকট হলে দাম বেড়ে যায়। সরবরাহ স্বাভাবিক হলে দাম কমে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর