মঙ্গলবার, ২৮ এপ্রিল, ২০২০ ০০:০০ টা

করোনায় চট্টগ্রামে অস্থির বাজার

সাইদুল ইসলাম, চট্টগ্রাম

করোনায় চট্টগ্রামে  অস্থির বাজার

করোনা পরিস্থিতিকে সামনে রেখে ভোগ্যপণ্য পাইকারি বাজারে বেশি দামে বিক্রয় করছেন বলে অভিযোগ তুলেছেন ক্যাব নেতারা। ক্ষমতাধর এসব ব্যবসায়ীরা মানছেন না প্রশাসনের নির্দেশনাও। প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিভিন্ন স্থানে অভিযানের পরও এখনো পর্যন্ত আদার দামসহ বিভিন্ন নিত্যপণ্যের দাম কমছে না। ধীরে ধীরেই এসব পণ্যের দাম বেড়েই চলেছে। তবে আদাসহ বিভিন্ন দাম নিয়ন্ত্রণে না রাখা এবং না কমায় ক্ষোভ প্রকাশ করে গতকাল একটি বিবৃতিও দিয়েছেন কনজ্যুমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব)-এর নেতারা।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, দেশের সবচেয়ে বড় ভোগ্যপণ্যের বাজার চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জে আদার বেপারীদের লঘু শাস্তি দেওয়া হয়েছে। এমন অভিযোগ তুলে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন কনজ্যুমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব)। কয়েকজন আমদানিকারক ৮০-৯০ টাকায় আদা আমদানি করলেও কারসাজির মাধ্যমে খুচরা বাজারে ২৩০-২৪০ টাকায় বিক্রির সংবাদে জেলা প্রশাসন ও জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর তাৎক্ষণিক অভিযানকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছে ক্যাব। ক্যাব কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস প্রেসিডেন্ট এস এম নাজের হোসাইন বলেন, অভিযুক্ত অসাধু ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে লঘু দ-ের কারণে বারবার এসব মূল্য দিতে হচ্ছে।

 করোনা মহামারীর এ মহাদুর্যোগকালকে কোনোভাবেই আমলে না নিয়ে তাদের সেই পুরনো খেলায় মত্ত। ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে অভিযোগ প্রমাণিত হলে এখন আর ৫-১০ হাজার টাকা জরিমানার মতো লঘু দ- বাতিল করে তাদের বিরুদ্ধে দোকান বন্ধ, জেল-হাজত, লাইসেন্স বাতিলের মতো কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে।

তিনি বলেন, আদা, রসুন, পিয়াজ, সবজির মতো পচনশীল পণ্যের ব্যবসায়ীরা দীর্ঘদিন ধরেই কমিশন এজেন্ট ও আড়তদার নামে অবৈধ ব্যবসা করে আসছেন। যেখানে পণ্য কেনাবেচার রশিদ ছাড়াই কোটি কোটি টাকার ব্যবসা করছেন। আর ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে ধরা পড়লে ক্রয় রশিদ দেখাতে ব্যর্থ হন। এ অবৈধ ব্যবসার কারণে সংকটকালে পণ্যমূল্যের বাজার বারবার অস্থির করে তোলে এই চক্র। তবে জেলা প্রশাসন ও ভোক্তা অধিদফতরের অভিযানে বারবার এরা চিহ্নিত হলেও কিছু ব্যবসায়ী নেতার চাপে তাদের বিরুদ্ধে কঠিন শাস্তির নজির নেই। যার খেসারত সাধারণ ভোক্তাদের দিতে হচ্ছে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর