শুক্রবার, ১ মে, ২০২০ ০০:০০ টা

করোনা চিকিৎসায় নানা সংকট খুলনায়

পোর্টেবল এক্স-রে মেশিন ও বায়ো হ্যাজার্ড ব্যাগ সরবরাহের দাবি

সামছুজ্জামান শাহীন, খুলনা

করোনা চিকিৎসায় নানা সংকট খুলনায়

করোনাভাইরাস পরীক্ষায় খুলনা মেডিকেল কলেজের (খুমেক) পিসিআর ল্যাবে দক্ষ টেকনোলজিস্টের অভাব রয়েছে। এ ছাড়া টানা কাজ করায় এরই মধ্যে ল্যাবে কর্মরত দুজন চিকিৎসক অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। একই সঙ্গে করোনা রোগীর পরীক্ষা-নিরীক্ষায় খুলনা ডেডিকেটেড হাসপাতালে প্যাথলজি রি-এজেন্ট, পোর্টেবল এক্স-রে মেশিন ও বায়ো হ্যাজার্ড ব্যাগের সংকট রয়েছে। খুলনায় করোনা পরিস্থিতি নিয়ে মতবিনিময় সভায় এসব বিষয়ে আলোচনা হয়। জানা যায়, খুলনা মেডিকেল কলেজে বর্তমানে করোনা পরীক্ষায় ৬০০-এর মতো কিট রয়েছে। প্রতিদিন গড়ে ১০০ কিট ব্যবহার হলে আগামী ৫/৬ দিনের মধ্যে তা শেষ হয়ে যাবে। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, ডেডিকেটেড হাসপাতালে করোনা চিকিৎসা শুরু হলেও প্যাথলজি পরীক্ষায় পর্যাপ্ত রি-এজেন্ট নেই। এখানে প্রয়োজনে রোগীর কাছে গিয়ে এক্স-রে করার জন্য পোর্টেবল এক্স-রে মেশিন, রোগীর পোশাক ও বর্জ্য বিনষ্টের জন্য বায়ো হ্যাজার্ড ব্যাগ ও অটোক্লেভ মেশিন (অতিরিক্ত তাপে জীবাণু ধ্বংস) নেই। এতে ঝুঁকির মধ্যে থাকছেন চিকিৎসক-স্বাস্থ্যকর্মীরা। এদিকে খুমেক হাসপাতালে রোগীর নমুনা সংগ্রহে প্রশিক্ষিত লোকবলের অভাব রয়েছে। পিসিআর ল্যাবে আগে থেকেই কাজ করা অভিজ্ঞ টেকনোলজিস্ট রয়েছে মাত্র একজন। কোনো কারণে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়লে নমুনা পরীক্ষায় সমস্যা দেখা দেবে। ল্যাবে কর্মরত চিকিৎসক শাহনাজ পারভীন ও ডা. তুষার আলম শারীরিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। ফলে অতিরিক্ত টেকনোলজিস্টের প্রয়োজন দেখা দিয়েছে ল্যাবে। খুলনা সিভিল সার্জন ডা. সুজাত আহমেদ জানান, বেসরকারি সংস্থা ব্র্যাক ৯ জন টেকনোলজিস্ট দিতে সম্মত হয়েছে। এরই মধ্যে কয়রা ও পাইকগাছা উপজেলা থেকে দুজনকে এনে ল্যাবে নিযুক্ত করা হয়েছে।

 হ্যাজার্ড ব্যাগ ও জীবাণু ধংসের মেশিনের জন্য প্রস্তাবনা দেওয়া হয়েছে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর