শুক্রবার, ১ মে, ২০২০ ০০:০০ টা

আশা জাগানিয়া সংবাদ প্রকাশ করুন : তথ্যমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক

তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ দুর্যোগের মধ্যে আশা জাগানিয়া সংবাদ পরিবেশন করে মানুষকে জীবনসংগ্রামে টিকিয়ে রাখার মনোবল জোগাতে সংবাদপত্র শিল্প সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। গতকাল তথ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে নিউজ পেপার ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (নোয়াব) প্রতিনিধিদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এ কথা বলেন। মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন তথ্যসচিব কামরুন নাহার, নোয়াব সভাপতি এ কে আজাদ  এবং অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যদের মধ্যে মতিউর রহমান, মাহফুজ আনাম, নঈম নিজাম, তারিক সুজাত, শাহ হোসেন ইমাম, আলতামাশ কবির মিশু ও সাইফুল আলম।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, আশাই মানুষকে ভবিষ্যতের দিকে নিয়ে যায় এবং জীবনসংগ্রামে টিকিয়ে রাখে। এজন্যই আমি সেই সংবাদগুলো প্রকাশের অনুরোধ জানাব, যেগুলো মানুষের মাঝে আশা জাগাবে। মানুষকে জানাবে যে, আগামীতে সব অন্ধকার কেটে গিয়ে সুদিন আসবে।

সংবাদপত্র মালিকদের উদ্দেশে মন্ত্রী বলেন, আপনারা চেষ্টা করবেন যাতে করে ইতিবাচক সংবাদগুলো বেশি করে আসে। এ সময়ে ইতিবাচক সংবাদ খুব জরুরি। কারণ হতাশাগ্রস্ত ও শঙ্কিত মানুষ ভবিষ্যৎ নিয়ে ভীষণভাবে চিন্তিত। হাছান মাহমুদ বলেন, আন্তর্জাতিক মাধ্যমেও অনেক সময় নেতিবাচক সংবাদ আসে, যেগুলো অনেক সময় বাস্তবচিত্রের পরিস্ফুটন নয়। আমি দেখেছি যে গতকাল বিদেশি গণমাধ্যমে এমন একটি সংবাদ এসেছে, যেটি এখানে অনেক পত্রিকায়ই ছাপা হয়নি। এজন্য আপনাদের ধন্যবাদ জানাই।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, সংবাদপত্র ও সরকার, আমরা আরও ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করব। কারণ আমাদের সম্মিলিত লক্ষ্য জাতিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া। সেই লক্ষ্যেই আমরা সবাই একযোগে কাজ করব।

নোয়াব সভাপতি এ কে আজাদ সরকারি ক্রোড়পত্রসহ বিভিন্ন বিজ্ঞাপনের বকেয়া বিল যাতে সংবাদপত্রগুলো দ্রুত পেতে পারে সে জন্য তথ্য মন্ত্রণালয়কে আরও জোরালো ভূমিকা নেওয়ার অনুরোধ করেন। একই সঙ্গে সংবাদপত্রের জন্য ব্যাংক ঋণ সুবিধা ও সংবাদপত্রের হকার, পরিবহন শ্রমিক ও এজেন্টদের জন্য আর্থিক প্রণোদনার বিষয়গুলো সুবিবেচনার দাবি জানান।

জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, সরকারের বিভিন্ন দফতরে সংবাদপত্রের যে বকেয়াগুলো আছে, সেগুলো পরিশোধের জন্য ইতিমধ্যে মন্ত্রিপরিষদ থেকে চিঠি দিয়ে দেওয়া হয়েছে, যাতে সব মন্ত্রণালয় সংবাদপত্রের বকেয়া পরিশোধ করে। তিনি বলেন, সে পরিপ্রেক্ষিতে আমরা আগামী সপ্তাহে প্রয়োজনে আমাদের মন্ত্রণালয় থেকে আরেকটা তাগিদপত্র সব মন্ত্রণালয়ে দেব।

ড. হাছান মাহমুদ আরও বলেন, আপনারা সংবাদপত্র পরিচালনায় যে ঋণের কথা বলেছেন, সে বিষয়েও আমরা বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে কথা বলব। কারণ আমার দৃষ্টিতে সংবাদপত্র একটি সার্ভিস সেক্টর। শিল্প মন্ত্রণালয় থেকে শিল্প হিসেবেও আপনারা কিছু সুবিধা পান, পাশাপাশি সার্ভিস সেক্টর হিসেবেও আমি মনে করি এখানে সুযোগ রয়েছে।

নোয়াব প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক শেষে তথ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) প্রতিনিধিবৃন্দ। ডিআরইউ সভাপতি রফিকুল ইসলাম আজাদ, সাধারণ সম্পাদক রিয়াজ চৌধুরী মন্ত্রীর সঙ্গে মতবিনিময়কালে সদ্যপ্রয়াত সাংবাদিক হুমায়ুন কবীর খোকনের পরিবারের জন্য সাহায্য কামনা করেন। সেই সঙ্গে তারা করোনায় আক্রান্ত সাংবাদিকদের সুচিকিৎসা ও ডিআরইউ সদস্যদের জন্য সম্ভাব্য সরকারি সহায়তার আবেদন জানান।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর