রবিবার, ৩ মে, ২০২০ ০০:০০ টা

মোংলা বন্দরে বিদেশি জাহাজের তেল পাচার

রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার সুনাম ক্ষুণেœর শঙ্কা

বাগেরহাট প্রতিনিধি

মোংলা বন্দরের বিদেশি লিকুইড পেট্রোলিয়াম গ্যাসবাহী (এলপিজি)  জাহাজ থেকে জ¦ালানি তেলসহ মূল্যবান মালামাল পাচারের অভিযোগ উঠেছে। এতে সরকার মোটা অঙ্কের রাজস্ব আয় থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। বন্দরের হারবার বিভাগ সূত্রে জানা যায়, প্রতি মাসে ২৫ থেকে ৩০টি এলপিজিবাহী জাহাজ মোংলা বন্দরে আসে। এপ্রিল মাসেও ২৪টি জাহাজ এলপিজি নিয়ে এ বন্দরে আসে। এসব জাহাজ থেকেই মূলত তেল পাচার করে থাকে সংঘবদ্ধ চোরাকারবারিরা। প্রতিটি জাহাজ থেকে রাতের অন্ধকারে ২০ থেকে ৫০ টন  তেল (ডিজেল, মোবিল) পাচারের ঘটনা ঘটছে।  মোংলার রিজেকশন গলির কয়েকজন ব্যবসায়ী এই অনৈতিক কাজে জড়িত। মোংলার রিজেকশন গলির কয়েকজন ব্যবসায়ী অভিযোগ করে বলেন, বন্দরে আগত বিদেশি এলপিজিবাহী জাহাজ থেকে তেল পাচার করে এনে তা কালোবাজারে বিক্রি করছে। পাশাপাশি জাহাজের মূল্যবান মালামাল চুরির ঘটনা ঘটছে। এই চক্রের সদস্যরা রাতারাতি আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ বনে গেছেন। স্থানীয় শিপিং এজেন্টের যোগসাজশে মোংলার মামারঘাট সংলগ্ন রিজেকশন গলির প্রভাবশালী কয়েক ব্যক্তি এই অবৈধ কারবার করছেন। এসব কারণে আন্তর্জাতিকভাবে এ বন্দরের সুনাম ক্ষুণেœর আশঙ্কা রয়েছে।

বাংলাদেশ শিপিং এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান ক্যাপ্টেন মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, জাহাজে ওয়াচম্যান বুকিংয়ের আইনি বাধ্যবাধকতা রয়েছে। কোনো শিপিং এজেন্টের বিরুদ্ধে আইন অমান্যের অভিযোগ পাওয়া গেলে তাদের বিরুদ্ধে বন্দর কর্তৃপক্ষকে ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ করা হবে।

মোংলা বন্দর স্টিভিডরিং ওয়াচম্যান ওয়েলফেয়ার সংঘের সভাপতি গোলাম মোস্তফা বলেন, এক মাসে অন্তত সাতটি এলপিজিবাহী জাহাজে ওয়াচম্যান বুকিং দেওয়া হয়নি। এ সুযোগেই রিজেকশন গলির অসাধু ব্যবসায়ীরা ওই সাতটি জাহাজ থেকে তেল, মবিলসহ মূল্যবান যন্ত্রাংশ পাচার করেছেন।

মোংলা কোস্টগার্ড পশ্চিম জোন সদর দফতরের অপারেশন কর্মকর্তা লে. ইমতিয়াজ আলম বলেন,  মোংলা বন্দরে তেল চোরদের বিরুদ্ধে অচিরেই অভিযান পরিচালনা করা হবে।

সর্বশেষ খবর