ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজে পিসিআর ল্যাবে করোনাভাইরাস শনাক্তের পরীক্ষার এক মাস পূর্ণ হয়েছে গত বৃহস্পতিবার। এ এক মাসে ময়মনসিংহ বিভাগে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ২৭৮ জন। বিপরীতে সুস্থ হয়েছেন মাত্র ১৬ জন। সে হিসাবে সুস্থতার হার ৫.৭৫ শতাংশ। অন্যদিকে করোনার থাবায় প্রাণ হারিয়েছেন চারজন। আর নমুনা সংগ্রহ হয়েছে ৩ হাজার ৬৬৯ জনের। বিভাগের চার জেলার মধ্যে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হয়েছে ময়মনসিংহ জেলায়। এ জেলায় ১৪৬ জন আক্রান্তের মধ্যে মাত্র চারজন সুস্থ হয়েছেন। এ পরিসংখ্যানে সুস্থতার হার মাত্র ২.৭৪। আর কভিড-১৯-এর কাছে পরাজিত হয়ে না-ফেরার দেশে পাড়ি জমিয়েছেন তিনজন। বিভাগীয় সদরের চিত্র আরও ভয়াবহ। ১৪৬ জনের মধ্যে ১০৩ জনই ময়মনসিংহ সিটি ও সদর উপজেলার। আরও উদ্বেগের বিষয়, এর মধ্যে ২৯ জন চিকিৎসকসহ ৮৩ জনই ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের স্বাস্থ্যকর্মী। এ এক মাসের পরিস্থিতি কীভাবে বিশ্লেষণ করছেন- এমন প্রশ্ন ছিল বিএমএ ময়মনসিংহ জেলা সভাপতি ডা. মতিউর রহমান ভুঁইয়ার কাছে। তিনি বলেন, ‘আমরা যদি ভারতের পশ্চিমবঙ্গের সঙ্গে তুলনা করি তাহলে বলব পরিস্থিতি দিন দিন নিয়ন্ত্রণের বাইরে যাচ্ছে। ওই পথেই হাঁটছে এখন ময়মনসিংহ।’ হাসপাতালের নতুন ভবনকে করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতাল করার সিদ্ধান্ত : ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আট তলা নতুন ভবনকে করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতাল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগ। গত বৃহস্পতিবার এ বিষয়ে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন সিভিল সার্জন ডা. এ বি এম মশিউল আলম। তিনি জানান, গত মঙ্গলবার জেলা প্রশাসনের সম্মেলন কক্ষে করোনা প্রতিরোধ কমিটির এক সভা হয়। ওই সভার সুপারিশের ভিত্তিতে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগ।
সিভিল সার্জন জানান, স্বাস্থ্য বিভাগের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী নতুন ভবনে ভর্তি থাকা রোগীদের পুরাতন ভবনে স্থানান্তর করা হবে। আশা করা যাচ্ছে আধুনিক সুযোগ-সুবিধা নিয়ে ৫০০ শয্যার করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতাল করা যাবে। দু-এক দিনের মধ্যেই কাজ শুরু হবে বলেও জানান ডা. এ বি এম মশিউল আলম।