সোমবার, ৪ মে, ২০২০ ০০:০০ টা

বরিশালে দিন দিন রাস্তায় বাড়ছে মানুষ

নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল

বরিশাল নগরীসহ পুরো জেলায় রাস্তাঘাট, দোকানপাট এবং বাজারে মানুষের উপস্থিতি বাড়ছে। রাস্তাঘাট, ব্যাংক-বীমা এবং বাজারে শারীরিক দূরত্ব ও জনসমাগম এড়িয়ে চলার সরকারি সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন না হওয়ায় ঝুঁকি বাড়ছে করোনা সংক্রমণের। আগে শারীরিক দূরত্ব ও জনসমাগম এড়িয়ে চলার সরকারি সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে নগরীতে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালিত হলেও এখন অনেকটাই শিথিল প্রশাসন। গতকাল নগরীতে দুটি ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালিত হয়। অতিরিক্ত মূল্যে পণ্য বিক্রির বিরুদ্ধে কাজ করে ওই আদালত। আগে বিভিন্ন সড়ক মোড়ে ও সড়কে জনসমাগম এবং যানবাহন রোধে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কিছু কড়াকড়ি থাকলেও ধীরে ধীরে সবকিছু শিথিল হতে চলেছে। রাস্তায় বের হওয়া মানুষজন বাসার বাজার, ওষুধ ও গুরুত্বপূর্ণ কাজে বের হন। অনেকেই অফিসের চাপে কাজে যেতে বাধ্য হন। তবে স্বাস্থ্যবিধির বলাই নেই কোথাও। জেলা প্রশাসন রমজানের শুরুতে ইফতারি বিক্রির জন্য হোটেল-রেস্তোরাঁ ও মহাসড়ক সংলগ্ন হোটেল-রেস্তোরাঁ চালু করার নির্দেশ দিলেও রেস্তোরাঁ মালিকরা তাদের প্রতিষ্ঠান খুলতে তেমন আগ্রহী নন। কিছু হোটেল-রেস্তোরাঁয় ইফতারি তৈরি করা হলেও পর্যাপ্ত ক্রেতা না থাকায় অবিক্রীত থাকছে অনেকাংশ। নগরীর ফলপট্টির আকাশ হোটেল অ্যান্ড রেস্টুরেন্টের মালিক মো. নুরুল ইসলাম জানান, জেলা প্রশাসন থেকে রমজানের শুরুতে ইফতারি তৈরি করতে রেস্তোরাঁ চালু করতে বলা হলেও তারা শ্রমিক পাচ্ছেন না। করোনার ভয়ে সবাই বাড়ি চলে যাওয়ায় সমস্যা হচ্ছে। সীমিত পরিসরে ইফতারি তৈরি করলেও রাস্তায় মানুষজন না থাকায় ইফতারি কিনবেন কারা। পর্যাপ্ত ক্রেতা না থাকায় সেগুলো অবিক্রীত থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। এ কারণে জেলা প্রশাসনের অনুমতির পরও রেস্তোরাঁ খুলতে আগ্রহী হচ্ছেন না তারা। সরকারি চাকরিজীবী রেজাউল ইসলাম বলেন, লকডাউনে কিছু মানুষ ধীরে ধীরে অসহিষ্ণু হয়ে পড়েছেন।

বিশেষ করে বাসায় দীর্ঘদিন অবরুদ্ধ থাকা শিশুরা কোনোভাবেই আর ঘরে বন্দী থাকতে চাচ্ছে না।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর