সোমবার, ৪ মে, ২০২০ ০০:০০ টা

দ্বিতীয় দফায় ৩৮৫ বন্দী মুক্তির আদেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক

করোনাভাইরাসের কারণে কারাগারগুলোতে চাপ কমাতে গতকাল ৩৮৫ জন বন্দীকে মুক্তির আদেশ দিয়েছে কারা অধিদফতর। তবে দেশের বিভিন্ন কারাগারে বন্দী মুক্তির আদেশ গতকাল সন্ধ্যার দিকে পৌঁছার কারণে বন্দী মুক্তি দেওয়া সম্ভব হয়নি বলে জানা গেছে। এর আগে গত শনিবার ১৭০ জনকে মুক্তি দেওয়ার মধ্যদিয়ে সারা দেশের কারাগারগুলোতে এ প্রক্রিয়া শুরু হয়। সে হিসেবে দুই দফায় ৫৫৫ জন বন্দীর ছারপত্র বের হলো। গতকালও দ্বিতীয় দফায় ৩৮৫ জনকে মুক্তি দেওয়ার নির্দেশ দেয় কারা অধিফতর। পর্যায়ক্রমে কয়েকটি ধাপে মোট দুই হাজার ৮৮৪ জনকে মুক্তি দেওয়া হবে বলে নিশ্চিত করেছে কারা অধিদফতরের কর্মকর্তারা। কারা কর্তৃপক্ষ বলছে, যাদের মুক্তি দেওয়া হচ্ছে, তারা সবাই লঘু দে  দি ত। সর্বোচ্চ এক বছর যাদের সাজা, তারাই এ তালিকায় রয়েছেন। তালিকা করা বন্দীদের ছয় মাস থেকে এক বছর, তিন মাস থেকে ছয় মাস এবং শূন্য থেকে তিন মাস- এ তিনটি ভাগে ভাগ করে মুক্তি দেওয়া হচ্ছে। কারা অধিদফতর সূত্র অনুযায়ী, সারা দেশে ৬৮টি কারাগারের ধারণক্ষমতা ৪১ হাজার হলেও ৮৫ হাজারের বেশি বন্দী অবস্থান করছেন। কারা অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক কর্নেল আবরার হোসেন বলেন, সাজাপ্রাপ্তরাই কেবল মুক্তি পাচ্ছেন। বিচার শেষে তাদের সাজা সর্বোচ্চ এক বছর পযন্ত নির্ধারণ করা হয়েছিল।

কেউ হয়তো এক মাস জেল খেটেছেন, কেউ হয়তো ৯ মাস। এ ক্ষেত্রে শিশু অপহরণ, ধর্ষণ বা হত্যার মতো গুরুতর অপরাধের অন্য কোনো মামলায় তাদের সংশ্লিষ্টতা থাকলে মুক্তি দেওয়া হচ্ছে না।

কারা মহাপরিদর্শক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ কে এম মোস্তফা কামাল পাশা বলেন, দেশের প্রায় সবগুলো কারাগারেই ধারণক্ষমতার অনেক বেশি বন্দী রয়েছে। চলমান করোনার এ মহামারীর সময়ে বন্দীর চাপ কমাতে সরকারের নির্দেশে এ মুক্তির প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। চলতি সপ্তাহের মধ্যেই আমরা দুই হাজার ৮৮৪ জনকে মুক্তি দিতে সক্ষম হব।

ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার কেরানীগঞ্জের জেলার মাহবুবুল ইসলাম গতকাল রাতে বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, ইফতারের ঠিক আগে আমরা ৪১ জন বন্দীর মুক্তির আদেশ পেয়েছি। তবে বেলা শেষ হয়ে যাওয়ায় তাদের মুক্তি দেওয়া সম্ভব হয়নি। সোমবার সকালেই আমরা তাদের মুক্তি দেব। 

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর