শিরোনাম
সোমবার, ৪ মে, ২০২০ ০০:০০ টা

কঠোরভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে পোশাক খাত খোলা রাখা যাবে

স্বাস্থ্যমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক

স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, স্বাস্থ্যবিধি কঠোরভাবে মেনে পোশাক খাত ও শিল্প-কারখানা খোলা থাকবে। পোশাক কারখানার শ্রমিকদের জন্য আলাদা পরিবহন থাকবে। আলাদা কোয়ারেন্টাইন ব্যবস্থা থাকবে। পোশাক কারখানা সরকারি ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্দেশনা মানছে কিনা তা দেখতে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও পোশাক খাতের প্রতিনিধি মিলে আলাদা সমন্বয় কমিটি থাকবে। কোনো কারখানা আক্রান্ত হলে সেটি সঙ্গে  সঙ্গে  বন্ধ করে দেওয়া হবে। কোনো কারখানা সরকারি নির্দেশনা না মানলে সেটিও বন্ধ করে দেওয়া হবে।গতকাল সচিবালয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেকের সভাপতিত্বে শিল্প-কলকারখানা মালিকদের সঙ্গে অনুষ্ঠিত আন্তমন্ত্রণালয়ের বৈঠক শেষে সংক্ষিপ্ত সংবাদ ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।

জাহিদ মালেক বলেন, শিল্প-কলকারখানা বিশেষ করে তৈরি পোশাক খাত দীর্ঘদিন বন্ধ রাখা হলে এই শিল্প বিশ্ববাজার হারাতে পারে। এটি দেশের ভবিষ্যৎ অর্থনীতির জন্য হুমকি হতে পারে।

তিনি বলেন, দেশের মানুষের জীবন ও জীবিকা ঠিক রাখতে হবে।  এ কারণে সবাইকে একদিকে যেমন স্বাস্থ্যবিধির দিকে মনোযোগ দিতে হবে অন্যদিকে অর্থনীতির বড় কোনো ক্ষতি হতে দেওয়া যাবে না।

জাহিদ মালেক বলেন, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও পোশাক খাতের নেতৃবৃন্দকে নিয়ে একটি আলাদা সমন্বয় কমিটি থাকবে। এই কমিটি পোশাক-খাতে স্বাস্থ্যবিধি মানা হচ্ছে কিনা তা মনিটরিং করবে। ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ ও গাজীপুর তিনটি জোনকে বিচ্ছিন্ন রাখতে হবে। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত এক অঞ্চলের শ্রমিক অন্য অঞ্চলের কল-কারখানায় চলাচল করতে পারবে না। তিনি বলেন, ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ ও গাজীপুর থেকে বাইরের জেলায় কেউ চলে গেলে সেখানেই তাকে হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে। একই সঙ্গে তৈরি পোশাক খাতের নিজ উদ্যোগে এবং স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে সমন্বয় রেখে টেস্টিং সুবিধা বৃদ্ধি করতে হবে। স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, শ্রমিকদের জন্য আলাদা কোয়ারেন্টাইন ব্যবস্থা রাখতে হবে। কোনো কারখানায় বেশি মানুষ আক্রান্ত হলে সেই কারখানা সাময়িকভাবে বন্ধ রাখতে হবে এবং শ্রমিকদের থাকা খাওয়া ও যাতায়াতে সুবিধা রাখতে হবে।

বৈঠকে বিকেএমইএ-এর সভাপতি ও নারায়ণগঞ্জের সংসদ সদস্য সেলিম ওসমান, শিল্প, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মোস্তফা কামাল উদ্দিন, স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব আসাদুল ইসলাম, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব, পুলিশের মহাপরিদর্শক ড. বেনজীর আহমেদ, বিজিএমইএ সভাপতি রুবানা হক, বিএমএ সভাপতি ডাক্তার মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন এবং স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক ডাক্তার ইকবাল আর্সলান, স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক ডাক্তার আবুল কালাম আজাদ এবং ঢাকা চেম্বার অব কমার্সের সভাপতিসহ অন্যান্য সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর