মঙ্গলবার, ৫ মে, ২০২০ ০০:০০ টা

চিকিৎসা নেই খুলনায়, মৃত্যুর পর পরীক্ষা

চিকিৎসক-স্বাস্থ্যকর্মীদের নোটিস, পরিদর্শন খাতা চালু

নিজস্ব প্রতিবেদক, খুলনা

চিকিৎসা নেই খুলনায়, মৃত্যুর পর পরীক্ষা

খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের করোনা সাসপেকটেড আইসোলেশন ওয়ার্ডের চিকিৎসা সেবা নিয়েই এবার প্রশ্ন উঠেছে। অভিযোগ রয়েছে- সার্বক্ষণিক চিকিৎসক না থাকায় চিকিৎসা না পেয়েই গত কয়েকদিনে এ ওয়ার্ডটিতে অন্তত ৯ জন রোগীর মৃত্যু হয়েছে। তবে মৃত্যুর পর নমুনা পরীক্ষায় তাদের কারও শরীরেই করোনাভাইরাস মেলেনি।

স্বজনদের অভিযোগ, কিডনি বা হার্টের রোগী শ্বাসকষ্টে ভুগলেই তাদের করোনা সাসপেকটেড ওয়ার্ডে পাঠানো হয়। কিন্তু এখানে জরুরি চিকিৎসায় আইসিইউ বা সিসিইউর ব্যবস্থা নেই। করোনা ইউনিট হওয়ায় কিডনি বা হার্টের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা এখানে আসেন না। কাছে থাকতে না পারায় জরুরি মুহূর্তে রোগীর স্বজনরাও কোনো ব্যবস্থা নিতে পারেন না। ফলে এক প্রকার বিনা চিকিৎসায় মারা যান রোগী।

এদিকে করোনা সাসপেকটেড ওয়ার্ডের চিকিৎসা সেবা নিয়ে অভিযোগ ওঠায় এরই মধ্যে দায়িত্বরত চিকিৎসক-নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীদের নোটিস দিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। বিনা অনুমতিতে অনুপস্থিত থাকলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। একই সঙ্গে সরেজমিন ওয়ার্ডটির চিকিৎসা সেবা সম্পর্কে খোঁজ নিতে পরিদর্শন খাতা চালু করা হয়েছে। জানা যায়, গত ২২ এপ্রিল রাতে বুকে ব্যথা ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে হাসপাতালে এলে খুলনার ফুলতলার মিজানুর রহমানকে (৫২) করোনা সাসপেকটেড ওয়ার্ডে পাঠানো হয়। সেখানে রাত আড়াইটার দিকে তার মৃত্যু হয়। মিজানুর রহমানের বড় ভাই আবুল হাসান মোড়ল জানান, হঠাৎ বুকে ব্যথা হওয়ায় প্রথমে তাকে ফরটিকস হাসপাতালে নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু শ্বাসকষ্ট দেখে তারা আড়াইশ বেড হাসপাতালে (খুমেক হাসপাতাল) পাঠিয়ে দেয়। এখানে করোনা সন্দেহে তাকে কোনো চিকিৎসা না দিয়ে করোনা সাসপেকটেড ওয়ার্ডে নিয়ে যায়। সেখানে বিনা চিকিৎসায় আমার ভাই মারা যায়। তিনি বলেন, রাত আড়াইটায় মারা গেলেও করোনা পরীক্ষার জন্য নমুনা সংগ্রহ করা হয় পরদিন দুপুরে। এতে নেগেটিভ এসেছে। করোনা ওয়ার্ডে না নিয়ে তাকে আইসিইউ বা জরুরি চিকিৎসা দেওয়া হলে এ মৃত্যুর ঘটনা ঘটত না।

খুমেক হাসপাতালের পরিচালক ডা. মুন্সী মো. রেজা সেকেন্দার বলেন, হাসপাতালে ডাক্তার সংকট নেই। শ্বাসকষ্ট হলে মুমূর্ষু অবস্থায় সাধারণত করোনা পরীক্ষার জন্য এখানে পাঠানো হয়। ফলে তাদের মৃত্যুর সম্ভাবনাই বেশি থাকে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর