আবারও বন্ধ হয়ে গেছে বেনাপোল-পেট্রাপোল বন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য কার্যক্রম। করোনা সংক্রমণের কারণে টানা ৪০ দিন বেনাপোল-পেট্রাপোল বন্দর দিয়ে আমদানি-রফতানি বাণিজ্য বন্ধের দুদিন আগে তা চালু হয়। কিন্তু ভারতীয় গ্রামবাসী ও পেট্রাপোল বন্দরের শ্রমিকদের আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে রবিবার বিকালে আমদানি-রফতানি কার্যক্রম বন্ধ করে দেয় পেট্রাপোল বন্দর কর্তৃপক্ষ।

এতে সব মিলিয়ে প্রায় পাঁচহাজার পণ্যবাহী ট্রাক বাংলাদেশে প্রবেশের অপেক্ষায় রয়েছে।

তিনি আরও বলেন, স্থানীয় গ্রামবাসী ও বন্দর শ্রমিকদের জীবনের নিরাপত্তার কথা  চিন্তা না করে কয়েকজন ব্যবসায়ী সরকারি আধিকারিকদের সঙ্গে আলোচনা করে বাংলাদেশে পণ্য রপ্তানি শুরু করেছে। ফলে শনিবার সকাল থেকে বাণিজ্য বন্ধের দাবিতে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন শ্রমিকরা। পেট্রাপোল বন্দরের লোড-আনলোডের সঙ্গে যুক্ত শ্রমিকদের দাবি, বন্দরে আমদানি-রফতানির কাজ চললে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে।

ভারতের পেট্রাপোল বন্দরের সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট স্টাফ ওয়েল ফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক শ্রী কার্তিক চক্রবর্তী জানান, শুধু কালিতলা পার্কিংয়ে বর্তমানে ২ হাজার ২৫৭টি ট্রাক পণ্য নিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশের অপেক্ষায় রয়েছে। এ ছাড়া সেন্টাল পার্কিং ও আশপাশে আরও কয়েক হাজার পণ্যবাহী ট্রাক দাঁড়িয়ে আছে। সব মিলিয়ে প্রায় পাঁচহাজার পণ্যবাহী ট্রাক বাংলাদেশে প্রবেশের অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে রয়েছে।

বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট স্টাফ অ্যাসোসিয়েশন সাধারণ সম্পাদক সাজেদুর রহমান জানান, ভারত থেকে রপ্তানি বাণিজ্য চালু থাকলে দু’দেশের ট্রাক ড্রাইভার ও শ্রমিকদের মাধ্যমে করোনা ছড়াতে পারে, এমন অভিযোগ তুলে তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা গোপাল সেন ও পৌর মেয়র শংকর আঢ্য ডাকৃ জনগণকে রাস্তায় নামিয়ে আন্দোলনের মাধ্যমে পণ্য রপ্তানি বন্ধ করে দিয়েছে।