মঙ্গলবার, ৫ মে, ২০২০ ০০:০০ টা
চট্টগ্রাম

কেউ চালাচ্ছেন রিকশা কেউ বিক্রি করছেন চা

মুহাম্মদ সেলিম, চট্টগ্রাম

চট্টগ্রাম নগরীর পরিবহন শ্রমিক নুরুল আমিন। করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাব শুরু হওয়ার আগে ছিলেন গণপরিবহনের হেলপার। দেশে সাধারণ ছুটি শুরু হওয়ার পর গণপরিবহন বন্ধ থাকায় বেকার হয়ে পড়েন তিনি। কিন্তু পরিবারের সদস্যদের খাবার জোগাড় করতে এখন পেশা পরিবর্তন করে হয়েছেন রিকশা চালক। শুধু নুরুল আমিন নয় করোনা প্রাদুর্ভাবের মধ্যে নগরীর হাজার হাজার শ্রমিক। তারা এখন পেশা পাল্টে কেউ হয়েছেন রিকশা চালক, কেউবা আবার ভ্রাম্যমাণ চা বিক্রেতা। জানা যায়, করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবের কারণে গণপরিবহন ও হোটেল-রেস্টুরেন্ট বন্ধ থাকায় বেকায়দায় পড়েছেন এ দুই সেক্টরের সঙ্গে যুক্ত হাজার হাজার শ্রমিক ও খেটে খাওয়া মানুষ। শুধু নগরীতে পরিবহন ও হোটেল সেক্টরে যুক্ত রয়েছে প্রায় ৫০ হাজার শ্রমিক কর্মচারী। যার মধ্যে রয়েছে বাস, মিনিবাস, হিউম্যান হলার, টেম্পো, সিএনজি ট্যাক্সির চালক শ্রমিক, হোটেল-রেস্টুরেন্টুগুলোর শ্রমিক কর্মচারী, বিভিন্ন কমিউনিটি সেন্টারের বাবুর্চি, বয়, নির্মাণ শ্রমিক, বাস ও ট্রেন স্টেশনের কুলি অন্যতম। সাধারণ ছুটির কারণে এসব সেক্টর বন্ধ থাকায় এসব শ্রমজীবি লোকজন কার্যত বেকার। পরিবহণ মালিক সমিতির নেতা মনজুর আলম চৌধুরী বলেন, গণ পরিবহণ বন্ধ থাকায় এ সেক্টরে যুক্ত শ্রমিকদের জন্য ত্রাণের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এরই মধ্যে অসংখ্য শ্রমিকের কাছে পৌছে দেয়া হয়েছে নিত্য প্রয়োজনীয় খাদ্য সামগ্রী। চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক ইলিয়াছ হোসেন বলেন, করোনা ভাইরাস প্রাদুর্ভাবের মধ্যে কর্মহীন মানুষের জন্য ত্রাণের ব্যবস্থা করেছে সরকার।

তিন দফায় অসংখ্য কর্মহীন মানুষকে ত্রাণ সহায়তা দেওয়া হয়েছে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর