চট্টগ্রামের পাইকারি বাজারে আদা, রসুন, পিয়াজের দাম কমতে শুরু করেছে। ফলে খুচরা বাজারেও দাম কমছে। চট্টগ্রাম নগরীর খাতুনগঞ্জসহ বিভিন্ন বাজারের অনেক আড়তে ক্রেতার দেখাও মিলছে না। তবে চালের দাম স্থিতি অবস্থায় রয়েছে বলেও জানান সংশ্লিষ্টরা। সর্বশেষ গত সোমবার দেশের সবচেয়ে বড় ভোগ্যপণ্যের পাইকারি বাজার খাতুনগঞ্জের আড়তে প্রতি কেজি চীনা আদা ১১৫ টাকা, মিয়ানমারের ১০৫ টাকা, দেশি ও মিয়ানমারের পিয়াজ ৩৫ টাকা ও চীনা রসুন ১১৫ টাকা ও দেশি ৯০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। ব্যবসায়ী ও ক্রেতারা বলছেন, চট্টগ্রাম বন্দর থেকে কনটেইনার ডেলিভারি বৃদ্ধিতে বাজারে পিয়াজ, রসুন, আদার সরবরাহ বেড়েছে। মিয়ানমার থেকে টেকনাফ স্থলবন্দর দিয়ে আদা ও পিয়াজ আমদানি হচ্ছে। এর বাইরে রমজানের প্রথম সপ্তাহে বাজারে বাড়তি চাহিদা ও সরবরাহ ঘাটতি থাকাকালে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর ও জেলা প্রশাসনের অভিযানও ইতিবাচক প্রভাব ফেলেছে।

বন্দর সূত্রে জানা গেছে, চীন থেকে আদা, রসুন এবং মিশরের পিয়াজ কনটেইনারে করে বন্দরে আসছে। এসব কনটেইনার দ্রুত খালাসের জন্য বন্দরের ইয়ার্ড টার্মিনাল থেকে ডেলিভারির পাশাপাশি বেসরকারি আইসিডিতেও পাঠানো হচ্ছে। চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর সূত্রে জানা গেছে, গত এপ্রিলে চীন থেকে এক হাজার ৭৩৩ টন আদা এসেছে। এর আগের মাসে (মার্চে) এসেছে তিন হাজার ২৬৭ টন। পাইপলাইনে আছে আমদানি অনুমতিপত্র (আইপি) নেওয়া চার হাজার ১৯৩ টন আদা। এপ্রিলে চীন থেকে তিন হাজার টন, মার্চে পাঁচ হাজার ১৫৮ টন রসুন এসেছে। আইপি নেওয়া হয়েছে এক হাজার ৬৬৯ টনের। মিশর থেকে এপ্রিলে এক হাজার ৬৮১ টন, মার্চে তিন হাজার ৬৯১ টন পিয়াজ এসেছে।

খাতুনগঞ্জের হামিদুল্লাহ মার্কেট ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ইদ্রিস বলেন, করোনাভাইরাস প্রতিরোধে সারা দেশে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিতে সাধারণ ছুটি চলছে। এতে নানা কারণে বন্দরে কনটেইনার জট পড়ে যায়। আমদানি করা আদা পচনশীল পণ্য। চীনা আদা এক সপ্তাহের বেশি আড়তে রাখা যায় না। একদিকে চীনা আদার সরবরাহে ঘাটতি দেখা দেয় অন্যদিকে রমজানের প্রথম সপ্তাহে অস্বাভাবিক চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় দাম বেড়ে গিয়েছিল। সরবরাহ বৃদ্ধি ও ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে এখন দাম নিম্নমুখী।