চট্টগ্রামের ১৫ উপজেলার ৫২৪টি কমিউনিটি ক্লিনিকে একদিনে জ্বর, সর্দি, কাশি, শ্বাসকষ্ট ও নিউমোনিয়ার উপসর্গ নিয়ে চিকিৎসা নিতে আসেন এক হাজার ৮৮৩ জন। এর পরের দিন আসেন ১ হাজার ৮৭৪ জন এবং পরদিন আসেন ১ হাজার ৭৩২ জন। গত এপ্রিল মাসের শেষ সপ্তাহের তিন দিনে গড়ে প্রতিদিন জ্বর, সর্দি, কাশি, শ্বাসকষ্ট ও নিউমোনিয়ার উপসর্গ নিয়ে চিকিৎসা নিতে আসছেন এক হাজার ৮২৯ জন। কিন্তু চট্টগ্রামে প্রতিদিন করোনা টেস্টের সুযোগ পাচ্ছেন গড়ে মাত্র ১৫০ থেকে ২০০ জন। আক্রান্তের তুলনায় টেস্টের হার কম হওয়ায় অনেকে রিপোর্ট পাওয়ার আগেই করোনা উপসর্গ নিয়ে মারা যাচ্ছেন। মৃত্যুর আগে রিপোর্ট না পাওয়ায় স্বাভাবিক নিয়মেই হচ্ছে দাফন ও জানাজা। করোনা উপসর্গের রোগী থাকলেও নমুনা পরীক্ষার হার অপ্রতুল। সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, চট্টগ্রামের ১৫ উপজেলার ৫২৪টি কমিউনিটি ক্লিনিকে একদিনে ৫ হাজার ৪২৪ জন মহিলা, ২ হাজার ৯৯৯ জন পুরুষ ও ৮৫৯ জন শিশু চিকিৎসা নিতে আসেন।
চট্টগ্রাম বিভাগীয় পরিচালক (স্বাস্থ্য) ডা. হাসান শাহরিয়ার কবির বলেন, ‘করোনার উপসর্গ নিয়ে মারা যাওয়া রোগীর সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় উপজেলার কমিউনিটি ক্লিনিকগুলোতে নজর বাড়ানো হয়েছে। করোনা প্রকোপ বেশি থাকা এলাকাগুলো চিহ্নিত করা হচ্ছে।’চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. শেখ ফজলে রাব্বি বলেন, ‘করোনার প্রকোপ বৃদ্ধির সঙ্গে উপজেলাগুলোতেও বেড়েছে জ্বর, সর্দি, কাশি, শ্বাসকষ্ট ও নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত রোগী। চট্টগ্রামে উপসর্গ নিয়ে মারা যাওয়ার পর পরীক্ষায় কয়েকজনের শরীরে করোনার অস্তিত্ব পাওয়া গেছে। তাই উপসর্গ নিয়ে কমিউনিটি ক্লিনিকে আসা রোগীদের ওপর বিশেষ দৃষ্টি রাখা হচ্ছে। সামান্য অস্বাভাবিকতা দেখা গেলেও তাদের হাসপাতালে যোগাযোগ করতে বলা হচ্ছে।’