বুধবার, ৬ মে, ২০২০ ০০:০০ টা

হাওরের ৯০ ভাগ ধান কাটা শেষ

কৃষিমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক

কৃষিমন্ত্রী ড. আবদুর রাজ্জাক বলেছেন, আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে হাওরের বোরো ফসল সম্পূর্ণ ঘরে উঠে যাবে। ইতিমধ্যে ৯০ ভাগ ধান কৃষকের ঘরে উঠেছে। প্রযুক্তির ব্যবহার এবং আবহাওয়া অনুক‚লে থাকায় কোনোরকম ঝুঁকি ছাড়াই ধান ঘরে তোলা গেছে। চলতি বোরো মৌসুমে মোট ৪৭ লাখ ৫৪ হাজার ৪৩৭ হেক্টর জমিতে বোরোর আবাদ করা হয়েছে। এর মধ্যে ১১ লাখ হেক্টর জমির ধান কাটা শেষ হয়েছে। মোট ধানের ২৫ শতাংশ ইতিমধ্যে কাটা হয়ে গেছে। গতকাল দুপুরে সচিবালয়ে কৃষি মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষ থেকে অনলাইনের মাধ্যমে বোরো ফসলের সর্বশেষ অবস্থা এবং আউশ আমন মৌসুমের প্রস্তুতি নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে কৃষিমন্ত্রী এসব তথ্য জানান। এ সময় কৃষি সচিব মো. নাসিরুজ্জামান উপস্থিত ছিলেন। আবদুর রাজ্জাক জানান, আগামী জুনের মধ্যে সারা দেশের শতভাগ বোরো ফসল কৃষকের ঘরে উঠে যাবে।

প্রযুক্তির ব্যবহারের কারণে অর্থাৎ কম্বাইন্ড হারভেস্টার ও রিপার মেশিন ব্যবহার করে দ্রুততম সময়ের মধ্যে কৃষক ধান ঘরে তুলতে পেরেছে। চলতি মৌসুমে সারা দেশে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি ফসল উৎপাদন হয়েছে। ফলে দেশে কোনো খাদ্য সংকট হবে না। তিনি বলেন, সরকার দেশের কৃষকের পাশে আছে। কৃষক যাতে ক্ষতিগ্রস্ত না হয় সেজন্য প্রধানমন্ত্রী কৃষির জন্য প্রথমে ৪ শতাংশ সুদে পাঁচ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ দেন। পরে কৃষি মন্ত্রণালয়ের নিয়মিত বরাদ্দ ১৪ হাজার ৫০০ কোটি টাকাও ৪ শতাংশ সুদে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। অর্থাৎ মোট  ১৯ হাজার ৫০০ কোটি টাকা মাত্র ৪ শতাংশ সুদে কৃষককে প্রণোদনা দেওয়া হবে।

কৃষিমন্ত্রী বলেন, আমন ধান উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে ইতিমধ্যে কৃষকদের মধ্যে ১৫০ কোটি টাকার সার ও বীজ সরবরাহ করা হয়েছে। জুলাই-আগস্ট মাসে আমন মৌসুমের জন্য কৃষককে যাতে পর্যাপ্ত বীজ, সার ও অন্যান্য সহযোগিতা দেওয়া যায় তার জন্য আমরা ইতিমধ্যে প্রস্তুতি নেওয়া শুরু করেছি। আমনে আমরা উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা আরও দুই লাখ মেট্রিক টন বাড়িয়েছি। একইভাবে পাট বীজ ও গ্রীষ্মকালীন সবজির বীজ বিনামূল্যে কৃষককে দেওয়া হচ্ছে। কৃষিমন্ত্রী বলেন, কৃষক যাতে উৎপাদিত ফসল বিশেষ করে শাকসবজি দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে ঢাকায় পৌঁছাতে পারে সে জন্য নানামুখী উদ্যোগ নিয়েছি। যাতে করে কৃষক সহজে তার উৎপাদিত পণ্য ঢাকাসহ অন্যান্য অঞ্চলে পৌঁছাতে পারে এবং ন্যায্য মূল্য পায়। আমরা উদ্যোগ নিয়েছি স্থানীয় ব্যবসায়ীদের সঙ্গে ঢাকার ব্যবসায়ীদের, আড়তদারদের এবং পাইকারদের সংযোগ স্থাপনের। কৃষিমন্ত্রী বলেন, বাড়ির আঙ্গিনায় এবং ছাদে শাকসবজি উৎপাদনের জন্য আমরা সার্ভিসসহ প্রযুক্তি সরবরাহ করব। তিনি বলেন, মৌসুমি ফসল বিশেষ করে আম কীভাবে কৃষকরা বাজারজাত করতে পারেন সে জন্য সব ধরনের সহযোগিতা দেওয়া হবে। কৃষিমন্ত্রী সাংবাদিকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, আপনাদের সহযোগিতা পেলে আমরা আরও অনেক কিছু করতে পারব। রবিবার প্রকাশিত বাংলাদেশ প্রতিদিনের একটি সংবাদ উল্লেখ করে তিনি বলেন, বাংলাদেশ প্রতিদিন নরসিংদী এবং যশোরের দুটি বাজারের চিত্র তুলে ধরেছে। এটি আমাদের খুব কাজে এসেছে।

সর্বশেষ খবর