বৃহস্পতিবার, ৭ মে, ২০২০ ০০:০০ টা
করোনায় অপ্রতিরোধ্য ইয়াবা কারবারিরা

রুট ও পাচারের ধরন বদলেছে সিলেটে

শাহ্ দিদার আলম নবেল, সিলেট

করোনাভাইরাসের দুর্যোগের সময়েও সিলেটে থেমে নেই ইয়াবা ব্যবসায়ীরা। দেশের বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে পাচার করে এনে তা ছড়িয়ে দিচ্ছেন পুরো জেলায়। সীমান্তে বর্ডার গার্ড অব বাংলাদেশ (বিজিবি) ও পুলিশের কড়া নজরদারি থাকার পরও বেপরোয়া মাদক ব্যবসায়ীরা সীমান্তের ওপার থেকে আনছেন ইয়াবা। পুলিশের অভিযানে গত দুই সপ্তাহে অন্তত ১০ জন ধরা পড়লেও থামছে না মাদক ব্যবসা।  করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে সারা দেশে লকডাউন ঘোষণার পর থেকে সিলেটের সীমান্ত এলাকায় বেড়েছে নজরদারি। মহাসড়ক ও আঞ্চলিক সড়কে চৌকি বসিয়ে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ। এরপরও সিলেটে কৌশল পাল্টে ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে মাদক ব্যবসায়ী চক্র। গত দুই সপ্তাহে সিলেটে ইয়াবার বড় দুটি চালান আটকের পর পুলিশের পক্ষ থেকে নজরদারি আরও বাড়ানো হয়েছে। রোহিঙ্গা ইস্যুতে টেকনাফ সীমান্তে কড়াকড়ির পর ইয়াবা চোরাচালানের নতুন রুট সিলেটের জকিগঞ্জ সীমান্ত দিয়ে ঢুকছে। ভারতের করিমগঞ্জ হয়ে জকিগঞ্জ সীমান্ত দিয়ে সিলেটে ঢুকছে ইয়াবার চালান। ইতিমধ্যে বেশ কয়েকটি বড় বড় চালান ধরাও পড়েছে। পুলিশের অভিযানের মুখে মাদক ব্যবসায়ীরাও বিভিন্ন সময় তাদের কৌশল পরিবর্তন করেছে। রমজানে লকডাউনের মধ্যে মাদক ব্যবসায়ীরা ইয়াবা পরিবহনে ব্যবহার করছে মোটরসাইকেল। ইয়াবা ব্যবসায়ীদের এমন একটি চক্রকে সোমবার রাতে আটক করেছে জকিগঞ্জ থানা পুলিশ। ওই চক্রটি সাহরির সময় জকিগঞ্জ থেকে ইয়াবার চালান মোটরসাইকেলে করে নিয়ে আসত। কয়েক হাত বদল করে তা নিয়ে আসা হতো সিলেট শহরে। সেখান থেকে পৌঁছে দেওয়া হতো বিভিন্ন জায়গায়।

সোমবার রাত সোয়া ৩টায় জকিগঞ্জ পৌরসভার ডিগ্রি ব্রিজের কাছ থেকে ওই চক্রের ৫ সদস্যকে আটকের পর ইয়াবা পাচারের নতুন কৌশলের বিষয়টি জানতে পেরেছে পুলিশ।

আটককৃতরা হলো, জকিগঞ্জ উপজেলার খলাছড়া গ্রামের এবাদ আহমদ, মাইজকান্দির জুনাইদ আহমদ, সোনাসারের ফুয়াদ আল আমিন, সোনারগ্রামের দেলোয়ার হোসেন ও বাকরশালের আবু আশরাফ। তাদের কাছ থেকে ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। এর আগে জকিগঞ্জ থেকে ১ হাজার ইয়াবার আরেকটি চালান আটক করে পুলিশ।

এর আগে ২৬ এপ্রিল সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার দৌলতপুর ইউনিয়নের দুর্যকাপন গ্রাম থেকে ৯০০ ইয়াবাসহ মাদকব্যবসায়ী স্বামী-স্ত্রীকে আটক করে পুলিশ। জকিগঞ্জসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে মাদকের চালান এনে দেশের বিভিন্ন জায়গায় পাঠানো হতো।

সিলেটের পুলিশ সুপার মো. ফরিদ উদ্দিন বলেন, করোনা পরিস্থিতিতে সীমান্তে নজরদারি বাড়ানোর পরও মাদক ব্যবসায়ীরা ইয়াবা নিয়ে আসছে। তবে পুলিশ তৎপর থাকায় তারা ধরা পড়ছে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর