সুমিষ্ট আমের জন্য দেশজুড়ে খ্যাতি রাজশাহীর। এ অঞ্চলের গাছে গাছে এখন শোভা পাচ্ছে থোকায় ঝোলা আম। তবে করোনা সংকটে এবার ক্ষতির মুখে পড়তে যাচ্ছে আমের বাণিজ্য। করোনার কারণে আমের বাণিজ্য যে ভালো হবে না, তা মনে করেই চরম হতাশ এ অঞ্চলের আমচাষি ও ব্যবসায়ীরা। বাজার পরিস্থিতি নিয়ে এখনই চরম শঙ্কা দেখা দিয়েছে আমচাষি ও ব্যবসায়ীদের মধ্যে। সাধারণ গুটি জাতের (গোপালভোগ) আম বাজারে আসে মে মাসের তৃতীয় সপ্তাহের মধ্যে। তবে চলমান করোনা পরিস্থিতির মুখে শেষ পর্যন্ত গাছ থেকে আম নামানো যাবে কি না এ নিয়ে শঙ্কা ভর করেছে রাজশাহীর চাষি ও ব্যবসায়ীদের মধ্যে। এমনিতেই এবার আমের মুকুলে পরিচর্যা করতে পারেননি চাষিরা। এ নিয়ে ফলন নিয়েও দুরাশা বিরাজ করছে তাদের মনে। রাজশাহীর আমচাষি ও ব্যবসায়ীরা বলছেন, আমের মৌসুমে শুধু আম কেন্দ্রিক বাণিজ্য হয়ে থাকে হাজার কোটি টাকার বেশি। এতে চাঙ্গা হয় রাজশাহী অঞ্চলের অর্থনীতি। মৌসুমের এই সময় থেকে শুরু হয় আমের বাগান কেনাবেচা। তা বদল হতে থাকে কয়েক হাতে। তবে এবার মৌসুমের শুরু থেকে করোনাভাইরাসের কারণে আমের বাগান কেনাবেচা বন্ধ আছে। বাগান মালিকরা সেভাবে পরিচর্যা করতে পারেননি। বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের উদ্যানতত্ত¡ গবেষণা কেন্দ্রের ফল বিভাগের ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. শরফ উদ্দিন বলেন, সবমিলিয়ে রাজশাহী ও চাঁপাইনবাবগঞ্জে আমের অবস্থা ভালো আছে। এখনই চাষিরা যদি পরিচর্যা বাড়াতে পারে তাহলে ফলন নিয়ে কোনো সংশয় থাকবে না। তবে করোনা পরিস্থিতি দীর্ঘমেয়াদি হলে বাজারজাতে সমস্যায় পড়তে হবে।