বৃহস্পতিবার, ৭ মে, ২০২০ ০০:০০ টা

২৫ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগে অনিশ্চয়তা

হাবিব উল্লাহ ডন

রুহুল আমিন রাসেল

করোনাভাইরাসের প্রভাবে প্রায় ২৫ হাজার কোটি টাকার বিনিয়োগ নিয়ে গাড়ি ব্যবসায়ীরা অনিশ্চয়তায় ভুগছেন বলে জানিয়েছেন বারভিডার সাবেক সভাপতি হাবিব উল্লাহ ডন। তিনি বলেছেন, চট্টগ্রাম ও মোংলা সমুদ্রবন্দরে গাড়ির জট লেগেছে। আটকা পড়েছে ৭ হাজারের বেশি গাড়ি। শোরুমেও আছে অবিক্রীত প্রায় ৫ হাজার গাড়ি। ফলে বিপাকে পড়েছেন ব্যবসায়ীরা। প্রায় ১ হাজার ২০ কোটি টাকার ক্ষতি হতে পারে। গতকাল বাংলাদেশ প্রতিদিনের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা বলেন বাংলাদেশ রিকন্ডিশন্ড ভেহিক্যালস ইমপোর্টার্স অ্যান্ড ডিলারস অ্যাসোসিয়েশন- বারভিডার সাবেক সভাপতি হাবিব উল্লাহ ডন। তিনি বলেন, ‘করোনায় আমরা দিশাহারা। দ্বিতীয় রাজস্ব প্রদানকারী এ খাতের ব্যবসায়ীরা ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়েছেন। বর্তমানে গাড়ির চাহিদা প্রায় শূন্য।

 কিন্তু প্রতিদিন বন্দরের ভাড়া হিসেবে ২০ লাখ অর্থাৎ মাসে ৬ কোটি টাকা পরিশোধ করতে হচ্ছে। অহেতুক বন্দরের ফি দিতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছেন ব্যবসাযীরা।’ এমন পরিস্থিতি উত্তরণে প্রণোদনা প্যাকেজের আওতায় নগদ সহায়তা চান তিনি।

হাবিব উল্লাহ ডন বলেন, ‘গাড়ি বিক্রি বন্ধ থাকায় ব্যবসায়ীরা অর্থনৈতিক সংকটে পড়েছেন। বিপুল পরিমাণ ব্যাংক সুদ ও বন্দরের ভাড়া বাড়তি গুনতে হচ্ছে। কর্মচারীদের বেতন ও শোরুম ভাড়া দিতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছেন অনেকে। গাড়ি বিক্রি বন্ধ থাকায় সরকারও রাজস্ববঞ্চিত হবে। এ সংকট উত্তরণে আগামী ডিসেম্বর পর্যন্ত গাড়ি ছাড়করণের বন্দর ফি মওকুফ চাই। ডিসেম্বর পর্যন্ত কর্মচারীদের বেতন ও শোরুম ভাড়া দিতে সহজ শর্তে কম সুদে পাঁচ বছর মেয়াদি ঋণ চাই। বন্দরে আটকে পড়া গাড়ির নিলাম ডিসেম্বর পর্যন্ত বন্ধ করুন। ঋণের কিস্তি প্রদানের সুবিধা ডিসেম্বর পর্যন্ত বাড়ানো হোক।’

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর