শুক্রবার, ৮ মে, ২০২০ ০০:০০ টা

সামনে আরও কঠিন সময় আসতে পারে প্রস্তুত থাকুন : কাদের

নিজস্ব প্রতিবেদক

করোনা পরিস্থিতি সামনে আরও কঠিন হওয়ার আশঙ্কা প্রকাশ করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আক্রান্ত ২১০টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ৩৭তম। সামনে আরও কঠিন সময় আসতে পারে বলে অনেকে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে। এই চ্যালেঞ্জিং সময় অতিক্রম করতে হবে আমাদের সাহসিকতার সঙ্গে। এ জন্য আওয়ামী লীগের সব স্তরের নেতা-কর্মীদের মানসিক প্রস্তুতি রাখার আহ্‌বান জানাচ্ছি। গতকাল সংসদ ভবনে তার সরকারি বাসভবনে সমসাময়িক বিষয় নিয়ে আয়োজিত অনলাইন সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, পিতা মুজিবের রাজনৈতিক আদর্শ ও দর্শন এবং নিজের জীবনের অভিজ্ঞতার সমন্বিত বোঝাপড়া নিয়ে প্রধানমন্ত্রী কাজ করছেন।

বাস্তবতার নিরিখে সব সময় জনগণের পাশে এসে যা যা করণীয় তা করে যাচ্ছেন। তিনি বলেন, এই মহামারী মোকাবিলায় শেখ হাসিনা যে ধৈর্য, কর্মনিষ্ঠা, প্রজ্ঞা, সাহস ও দায়িত্বশীলতা দেখিয়েছেন তা দেশে-বিদেশে প্রশংসিত হচ্ছে। দেশব্যাপী জনগণের পাশে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা আছেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, এ পর্যন্ত আওয়ামী লীগ দলীয়ভাবে ৯০ লাখ ২৫ হাজার পরিবারকে খাদ্য সহায়তা এবং নগদ ৮ কোটি ৬২ লাখ টাকা অর্থ সহায়তা দিয়েছে। দলীয়ভাবে আওয়ামী লীগের ত্রাণ তৎপরতার কথা তুলে ধরে ওবায়দুল কাদের বলেন, আওয়ামী লীগে ও সহযোগী সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা-কর্মী, দলীয় সংসদ সদস্যসহ আমাদের জনপ্রতিনিধিরা দলের পক্ষে সারা দেশে এই ত্রাণ ও আর্থিক সহায়তা দিয়েছেন। এখনো ত্রাণ সামগ্রী ও নগদ টাকা বিতরণ সারা দেশের তৃণমূল পর্যায়ে অব্যাহত রয়েছে। এ ছাড়া পিপিই, মাস্ক, গ্লাভস, স্যানিটাইজার, ব্লিচিং পাউডার ও স্প্রে মেশিনসহ স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে।

ওয়ান-ইলেভেনের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে দলীয় সভাপতি শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের বিষয়টি স্মরণ করেন ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, আজ (গতকাল) ৭ মে আমাদের রাজনৈতিক ইতিহাসে একটি স্মরণীয় দিন। ২০০৭ সালের এই দিনে চিকিৎসা শেষে যুক্তরাষ্ট্র থেকে শত বাধা-বিপত্তি উপেক্ষা করে দেশে ফিরে আসেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা। তৎকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার চেয়েছিল তিনি যেন দেশে ফিরে না আসেন। তিনি আরও বলেন, কিন্তু বঙ্গবন্ধুকন্যা অসীম সাহসের সঙ্গে সব ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে তিনি ফিরে আসেন দেশের মাটিতে। যাতে ফিরে না আসতে পারে সেজন্য ফিরে আসার দিনে তখনকার সরকার তার বিরুদ্ধে মামলা করে ওয়ারেন্ট জারি করে আন্তর্জাতিক ফ্লাইটগুলোকে টিকিট না দেওয়ার জন্য চাপ তৈরি করে। কিন্তু যার শরীরে বঙ্গবন্ধুর রক্ত, যার রক্ত প্রবাহে দেশপ্রেম তাকে তারা বাধা দিয়ে রাখতে পারেনি। তিনি দেশে ফিরে আসেন। নির্বাচনে অংশ নেন। ২৯ ডিসেম্বরের নির্বাচনে বিপুল বিজয়ের পরে সরকার গঠন করেন।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর