করোনা পরিস্থিতিতে জনসাধারণের প্রবেশ নিষিদ্ধ। এই সুযোগে ওয়ার্ল্ড হ্যারিটেজ সাইট সুন্দরবনে কর্তন নিষিদ্ধ সুন্দরী গাছ কাটার ঘটনা তদন্তে সহকারী বন সংরক্ষক এনামুল হককে প্রধান করে কমিটি গঠন করা হয়েছে। ‘করোনাকালে উজাড় হচ্ছে সুন্দরবন, নিষিদ্ধ সুন্দরী গাছ কেটে বন বিভাগের ট্রলারেই পাচার’ শিরোনামে গতকাল বাংলাদেশ প্রতিদিনে সংবাদ প্রকাশিত হলে বন বিভাগে শুরু হয় তোলপাড়। প্রধান বন সংরক্ষক (সিসিএফ) আমির হোসাইন চৌধুরী দ্রুত কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেন। এদিকে খোদ বন বিভাগের কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন খানের নির্দেশে পাচার নিষিদ্ধ সুন্দরী গাছ কেটে বন বিভাগের পতাকাবাহী ট্রলারেই পাচারের ঘটনায় বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের (বাপা) বাগেরহাট জেলা সমন্বয়কারী মো. নুর আলম শেখ বলেন, সুন্দরবন বিভাগের অসাধু কর্তাব্যক্তিদের সহযোগিতায় বনের গাছ কেটে পাচার হচ্ছে, যা প্রত্যক্ষভাবে সবার দৃষ্টিগোচর হয়েছে। এতেই প্রমাণ হয় সুন্দরবন রক্ষায় বন বিভাগ পুরোপুরি ব্যর্থ। তাই এই বন রক্ষা করতে বন বিভাগের ওপর আস্থা না রেখে সরকারের উচিত বিশেষ নজরদারি করা। বুধবার (৬ মে) দুপুরে বনের ঘাগরামারী এলাকা থেকে কর্তন নিষিদ্ধ সুন্দরী ও কাঁকড়া গাছ কেটে তা পাচার করছিল। গাছ পাচারের সঙ্গে জড়িত তিন পাচারকারী সনজিৎ, তরুণ ও পংকজ তাৎক্ষণিক কয়েকজন গণমাধ্যমকর্মীর কাছে তা স্বীকারও করেন। গাছ পাচার কাজে ব্যবহার করা হয় বন বিভাগের পতাকাবাহী ট্রলারও। এই তিন সুন্দরী গাছ পাচারকারী জানায়, সুন্দরবনের ঘাগরামারী থেকে সুন্দরী গাছ কেটে আনার অনুমতি দিয়েছেন চাঁদপাই রেঞ্জের ঢাংমারীর স্টেশন অফিসার আনোয়ার।