শুক্রবার, ৮ মে, ২০২০ ০০:০০ টা

এবার অ্যাপে চাল কেনা হচ্ছে না

নিজস্ব প্রতিবেদক

করোনাভাইরাস মহামারীর মধ্যে চলতি বছর ১৮টি উপজেলায় অ্যাপের মাধ্যমে কৃষকদের কাছ থেকে বোরো চাল সংগ্রহের সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছে সরকার। তার বদলে আগামী মৌসুমে অ্যাপের মাধ্যমে চাল সংগ্রহের নির্দেশনা দিয়ে খাদ্য অধিদফতরের মহাপরিচালককে সম্প্রতি চিঠি দিয়েছে খাদ্য মন্ত্রণালয়। সেখানে বলা হয়েছে, সরকার স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে বর্তমানে ইরি/বোরো সংগ্রহ মৌসুমে ১৮ উপজেলায় ‘চাল সংগ্রহ ব্যবস্থাপনার সার্ভিস’ নামে ডিজিটাল অ্যাপের মাধ্যমে চাল সংগ্রহ কার্যক্রম পরিচালনার বিষয়টি অত্যন্ত ইতিবাচক হিসেবে দেখছে। করোনাভাইরাস সংক্রমণের পরিস্থিতি বিবেচনা করে এ পরীক্ষামূলক কার্যক্রমটি বর্তমান মৌসুমের পরিবর্তে আগামী মৌসুমে বাস্তবায়নের প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নিতে খাদ্য অধিদফতরের মহাপরিচালককে চিঠিতে অনুরোধ করা হয়েছে। সরকারিভাবে মজুদ করতে সাধারণত মিল মালিকদের কাছ থেকে চাল কেনে সরকার। এর অংশ হিসেবে চলতি বোরো মৌসুমে সরকার ১৮টি উপজেলায় অ্যাপের মাধ্যমে সরাসরি কৃষকের কাছ থেকে চাল কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। সেই সিদ্ধান্ত থেকে সরে এলেও অ্যাপের মাধ্যমে ধান কেনা অব্যাহত রয়েছে বলে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। এবার ৬৪ জেলার সদর উপজেলায় বোরো মৌসুমে অ্যাপের মাধ্যমে কৃষকের কাছ থেকে ধান কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল খাদ্য মন্ত্রণালয়। তবে কভিড-১৯ মহামারীর কারণে সেই অবস্থান থেকে সরে ২২টি উপজেলা থেকে অ্যাপের মাধ্যমে ধান সংগ্রহ করা হচ্ছে। কৃষকের অ্যাপ : অ্যাপে ধান বিক্রি করতে একজন কৃষককে তার ফোনে ‘কৃষকের অ্যাপ’ ডাউনলোড করে জাতীয় পরিচয়পত্র ও মোবাইল নম্বর দিয়ে নিবন্ধন করতে হবে। কৃষকের স্মার্টফোন না থাকলে ইউনিয়ন তথ্যসেবা কেন্দ্রে গিয়ে তিনি এ সেবা নিতে পারবেন। ধানের নাম, জমির পরিমাণ, কী পরিমাণ ধান বিক্রি করতে চানÑ এসব তথ্য জানিয়ে ওই অ্যাপের মাধ্যমে সরকারের কাছে ধান বিক্রির আবেদন করবেন কৃষক।

 এরপর নিবন্ধন, বরাদ্দের আদেশ ও দাম পরিশোধের সনদসহ তথ্য এবং ধান বিক্রির জন্য কবে কোন গুদামে যেতে হবে, সেসব তথ্য এসএমএসে কৃষককে জানিয়ে দেওয়া হবে। আবেদনকারী বেশি হলে লটারির মাধ্যমে কৃষক নির্বাচন করে ধান কেনা হবে। খাদ্য অধিদফতরের একজন কর্মকর্তা জানান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নেতৃত্বে গঠিত উপজেলা কমিটি আবেদনকারীদের মধ্যে লটারি করে কৃষক নির্বাচন করবে। এ ছাড়া একটা অপেক্ষমাণ তালিকা করা হবে। নির্বাচিত কোনো কৃষক ধান না দিলে সেই তালিকা থেকে অন্য কৃষকের কাছ থেকে ধান কেনা হবে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর