শিরোনাম
শনিবার, ৯ মে, ২০২০ ০০:০০ টা

রাজশাহী কারাগারের আরও ১২৯ কয়েদিকে মুক্তির নির্দেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী

করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে সংক্রমণের ঝুঁকি এড়াতে রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারের আরও ১২৯ কয়েদিকে মুক্তির নির্দেশ দিয়েছে সরকার। গতকাল দুপুরে কারা কর্তৃপক্ষ এ নির্দেশ পেয়েছে। এর আগে গত শনি ও রবিবার দুই দফায় ৯৮ বন্দীকে মুক্তির নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার গিয়াস উদ্দিন বলেন, তৃতীয় ধাপে ১২৯ কয়েদিকে মুক্তি দিতে দুপুরেই নির্দেশনা পেয়েছি। যাদের জরিমানা নেই তাদের সন্ধ্যায় ছেড়ে দেওয়া হবে। আর আগের ৯৮ বন্দীর অনেকেই চলে গেছেন, কেউ কেউ জরিমানা পরিশোধ না হওয়ায় আটকে আছেন। তিনি জানিয়েছেন, করোনাভাইরাস সংক্রমিত কোভিড-১৯ রোগের বিস্তার রোধে কারাগারগুলোতে ভিড় কমাতে সরকার লঘু অপরাধে সাজাপ্রাপ্ত আসামিদের সাজা মওকুফ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এ রকম বন্দীদের তালিকা কিছুদিন আগে কারা অধিদফতর সারা দেশের কারাগারগুলো থেকে নিয়েছিল। তালিকা পাওয়ার পর সারা দেশ থেকেই বন্দী মুক্তি দেওয়া হচ্ছে। তিনি আরও জানান, তিন ধাপে কয়েদিদের মুক্তি দেওয়ার সিদ্ধান্ত আছে। সে অনুযায়ী প্রথম ধাপে ৩৩, দ্বিতীয় ধাপে ৬৫ এবং তৃতীয় ধাপে ১২৯ জনকে মুক্তির নির্দেশনা তিনি পেয়েছেন। এই ২২৭ জনের বাইরে আর কাউকে মুক্তি দেওয়া হবে কি না সেটা সরকারের সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর করছে। 

কারা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, যাদের কারাদন্ডের মেয়াদ এক বছর, কিন্তু ছয়মাস বা তারও বেশি সাজা খেটেছেন এ রকম কয়েদিদেরই সাধারণ ক্ষমায় সাজা মওকুফ করা হয়েছে। যারা মুক্তি পাচ্ছেন তাদের এ মামলায় আর কারাগারে যাওয়া লাগবে না। সাজা একেবারেই মওকুফ করে দেওয়া হয়েছে। তবে কারাদন্ডের সঙ্গে যদি কারও অর্থদন্ডও থেকে থাকে তাহলে তাকে জরিমানার টাকা পরিশোধ করতেই হবে। স্বজনরা জরিমানা পরিশোধ না করলে সাধারণ ক্ষমা পেয়েও বন্দীর মুক্তি মিলবে না।

উল্লেখ্য, রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারের ধারণক্ষমতা ১ হাজার ৪৫০ জন। কিন্তু উত্তরাঞ্চলের বৃহৎ এই কারাগারে হাজতি এবং কয়েদি মিলিয়ে বন্দী থাকেন প্রায় সাড়ে তিন হাজার। গাদাগাদি করে কারাগারে থাকতে হয় বন্দীদের। এতে এখানে বন্দীদের সংক্রমণের ঝুঁকি বেশি।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর