শিরোনাম
শনিবার, ৯ মে, ২০২০ ০০:০০ টা

খুলনায় নতুন পরিকল্পনায় জলাবদ্ধতা নিরসন

দুই বিদেশি প্রকল্পের ফিজিবিলিটি স্টাডি

সামছুজ্জামান শাহীন, খুলনা

বৃষ্টি হলেই খুলনা মহানগরীর বিভিন্ন সড়কে হাঁটু পানি জমে সৃষ্টি হয় জলাবদ্ধতার। ড্রেনের নোংরা পানির সঙ্গে সে সময় আবর্জনায় তলিয়ে যায় চারপাশ। এতে ভোগান্তি বাড়ে নগরবাসীর। দীর্ঘদিনের এ সংকট নিরসনে নতুন পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে খুলনা সিটি করপোরেশন। জার্মান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক ও নেদারল্যান্ডস সরকারের অর্থায়নে জলাবদ্ধতা নিরসনে ময়ূর নদ খনন, ড্রেন ও নদী-খালের সংযোগস্থলে ‘ট্রিটমেন্ট প্লান্ট’, শহরের পানি নদীতে অপসারণে পাম্প হাউস নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এরই মধ্যে ‘জলবায়ু সহিষ্ণু খুলনা উন্নয়ন প্রকল্প’ নামে ৩০০ কোটি টাকা ব্যয়ে প্রকল্পের ফিজিবিলিটি স্টাডি শেষ করেছে জার্মান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক। এরপর নেদারল্যান্ডস সরকারের সহযোগিতায় ৩০০ কোটি টাকার আরেকটি প্রকল্পের ফিজিবিলিটি স্টাডি শুরু হবে। কেসিসির প্রধান পরিকল্পনাবিদ আবির-উল জব্বার বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে শহরের তুলনায় ভৈরব ও রূপসা নদীর তলদেশ উঁচু হয়ে গেছে। এতে জোয়ারের সময় নদীর পানি শহরের অভ্যন্তরে ঢুকছে। এ কারণে জলাবদ্ধতা নিরসনে খুলনায় চলমান ৮২৩ কোটি টাকার সরকারি অনুমোদিত প্রকল্পের বাইরে নতুন আরও কিছু পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে মতিয়াখালী খাল, কাস্টমঘাট ও লবণচরা এলাকায় নদীর সংযোগস্থলে জোয়ারের সময় পানি অপসারণে জার্মান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের অর্থায়নে বড় পাম্প হাউস নির্মাণ করা হবে। এ ছাড়া ড্রেন নির্মাণ-সংস্কার, ময়ূর নদ খনন ও সেখানকার পানি স্বচ্ছ রাখতে আধুনিক মানের ট্রিটমেন্ট প্লান্ট করা হবে।

জানা যায়, খুলনায় সরকারি অর্থায়নে জলাবদ্ধতা নিরসন ও সড়ক মেরামতে বড় দুটি প্রকল্প চলমান রয়েছে। এর মধ্যে ড্রেনেজ ব্যবস্থার উন্নয়ন ও সংস্কারে কোথায় কী কাজ হবে তার বিওকিউ (বিল অব কোয়ান্টিটি) প্রস্তুত করা হয়েছে। কিন্তু করোনার কারণে সবকিছু স্থবির হয়ে গেছে। ড্রেন নির্মাণ ও সংস্কার কাজের দরপত্র আহ্‌বান প্রক্রিয়াও আটকে গেছে।

খুলনা সিটি মেয়র তালুকদার আবদুল খালেক বলেন, ময়ূর নদসহ উদ্ধার হওয়া ২২টি খালকে পানি নিষ্কাশনের কাজে কীভাবে ব্যবহার করা যায় তা নিয়ে নতুন পরিকল্পনা করা হচ্ছে। এরই মধ্যে জার্মান ও নেদারল্যান্ডস দুটি আলাদা প্রকল্পে জলবায়ু ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার উন্নয়নে কাজ শুরু করেছে। তাদের জলাবদ্ধতা নিরসনে রূপসা নদী খননের প্রস্তাবনাও দেওয়া হয়েছে। আগামী জুলাই মাস থেকে এসব কাজ শুরু হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর