শনিবার, ৯ মে, ২০২০ ০০:০০ টা

উৎপাদন বিপণন কর কৃষকবান্ধব করার পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের

মার্চ-এপ্রিলে সংগ্রহ করা ফসলের ন্যায্যমূল্য পায়নি কৃষক

নিজস্ব প্রতিবেদক

করোনার কারণে গত মার্চ-এপ্রিলে সংগ্রহ করা ফসলের ন্যায্যমূল্য পায়নি কৃষক। সাধারণ ছুটির কারণে পরিবহন ব্যবস্থাও ছিল অস্বাভাবিক। মাঠেই নষ্ট হয়েছে অনেক ফসল। নামমাত্র মূল্যে বিক্রি করতে হয়েছে। করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবে বিপর্যস্ত হয়েছে কৃষক। বিপর্যয় রোধে কৃষিকেই গুরুত্ব্ দেওয়ার কথা বলছেন অর্থনীতিবিদরা। আসন্ন বাজেটে কৃষির উৎপাদন ও বিপণনে কর সংক্রান্ত বিষয়গুলো কৃষকবান্ধব করার পরামর্শ দিচ্ছেন তারা।  করোনাভাইরাসে সৃষ্ট দুর্যোগে কৃষকদের জন্য প্রণোদনা দিচ্ছে সরকার। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কৃষিকাজ চালিয়ে যাওয়ার জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়েছেন। বাজেটে কৃষি খাতকে গুরুত্ব দেওয়ার কথা বলা হচ্ছে। করোনার কারণে একদিকে ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে কৃষকরা, অন্যদিকে এনবিআর কৃষকের আয়ের ওপর মোটা অঙ্কের কর বসিয়ে দিয়েছে। সূত্রে জানা যায়, এনবিআর অর্থ আইন ২০১৯ এর মাধ্যমে উৎপাদিত মূল্যের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত কাঁচামাল কেনার ক্ষেত্রে ১৫ লাখ টাকা পর্যন্ত যে কোনো পরিমাণ ক্রয়ের ওপর ২ শতাংশ হারে উৎসে কর কাটার আইন আরোপ করেছে। করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবের সময় এ ধরনের কর প্রসঙ্গে অর্থনীতিবিদ ড. বিনায়ক সেন বলেন, এখনকার সময় এটা করার প্রশ্নই আসে না। আগে করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হোক। কৃষিবিদ রেজওয়ানুল ইসলাম মুকুল বলেন, বর্তমান কৃষিবান্ধব সরকার কৃষকদের সবরকমের সহায়তা দিচ্ছে। এনবিআরের উচিত হবে একটি দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা গ্রহণ করা। হঠাৎ আয়করের বোঝা কৃষকের ওপর চাপানো ঠিক হবে না। বরং আগামী ৫-১০ বছরে প্রতিটি কৃষককে পর্যায়ক্রমে টিআইএন নম্বরের মাধ্যমে আয়করের আওতায় এনে ওই নীতি বাস্তবায়ন করা যেতে পারে।

এদিকে আয়কর অধ্যাদেশ ১৯৮৪ অনুযায়ী, কৃষকের পক্ষে ব্যক্তিগত পর্যায়ে আয়ের ওপর দুই লাখ টাকা পর্যন্ত অব্যাহতি দেওয়া আছে। কিন্তু ওই সুবিধা পাওয়ার জন্য কৃষকের আয়কর দেওয়া বাধ্যতামূলক। নয়তো কৃষকের অতিরিক্ত ৫০ শতাংশ অর্থাৎ মোট ৩ শতাংশ উৎসে কর কাটা হবে। কৃষকরা কাঁচামাল উৎপাদন এবং সরবরাহ করে নির্দিষ্ট পরিমাণ অঙ্কের টাকা আয় করে থাকেন। সেই কাঁচামাল মজুদের ওপর যদি অতিরিক্ত কর চাপিয়ে দেওয়া হয় তাহলে মন্দায় কৃষকরা আরও নাজেহাল হয়ে পড়বে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর