রবিবার, ১০ মে, ২০২০ ০০:০০ টা

অফডকে কনটেইনার ডেলিভারিতে বন্দর ইয়ার্ড এখন জটমুক্ত

২৩ দিনে ২২ হাজার কনটেইনার স্থানান্তর

ফারুক তাহের, চট্টগ্রাম

অফডকে কনটেইনার ডেলিভারিতে বন্দর ইয়ার্ড এখন জটমুক্ত

দেশের প্রধান সমুদ্রবন্দরে সৃষ্ট ভয়াবহ কনটেইনার জট নিরসনে নেওয়া বিভিন্ন পদক্ষেপের ইতিবাচক প্রভাব পড়তে শুরু করেছে। ইতিমধ্যে তিন দফায় ১৬ মে পর্যন্ত কনটেইনার স্টোর রেন্ট মওকুফের কারণে যেমন কনটেইনার ডেলিভারি বেড়েছে, তেমনি অফডকে সব ধরনের কনটেইনার স্থানান্তরের সুযোগ করে দেওয়ায় এখন বন্দরের ইয়ার্ডগুলো অনেক হালকা হয়েছে। প্রায় সব পণ্য ১৯টি বেসরকারি ইনল্যান্ড কনটেইনার ডিপোতে (অফডক) স্থানান্তরের এই সিদ্ধান্তের পর এ পর্যন্ত প্রায় ২২ হাজার কনটেইনার গিয়েছে অফডকে। ফলে চট্টগ্রাম বন্দরের কনটেইনার জট স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে বলে জানান বন্দর কর্মকর্তারা। করোনা পরিস্থিতির কারণে আমদানি পণ্যনির্ভর কনটেইনারের কারণে বিগত দেড়মাস চট্টগ্রাম বন্দর ভয়াবহ কনটেইনার জটে পড়ে। এ অবস্থা থেকে উত্তোরণের জন্য নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় ও বন্দর কর্তৃপক্ষ বন্দর ব্যবহারকারী ও ব্যবসায়ী সংগঠনের নেতৃবৃন্দের সঙ্গে বসে কিছু যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। কার্যকর এসব পদক্ষেপ অনুযায়ী ব্যবসায়ী ও আমদানিকারকরা এগিয়ে আসলে বন্দরের কনটেইনার জট খুলতে বসে। এদিকে অফডক মালিকদের সংগঠন বিকডার সচিব রুহুল আমিন সিকদার বলেন, আগে ৩৮ ধরনের আমদানি পণ্য অফডকে খালাস করার অনুমতি ছিল। করোনাকালে বন্দরে ভয়াবহ কনটেইনার জট সৃষ্টি হলে জাতীয় রাজস্ব  বোর্ড ২৩ এপ্রিল থেকে অফডকগুলোতে প্রায় সব ধরনের আমদানি পণ্য নেওয়ার অনুমতি দেয়। ফলে ২৪ এপ্রিল  থেকে এ পর্যন্ত অন্তত ২২ হাজার টিইইউ’স (২০ ফুট দীর্ঘ একক) কনটেইনার বন্দর থেকে অফডকে  নেওয়া হয়। এর বাইরে আরও সাড়ে ১৫ হাজার কনটেইনার অফডকে স্থানান্তরের সুযোগ আছে। দেশের অর্থনীতির স্বার্থে বন্দরের কনটেইনার জট নিরসনে অফডকগুলোর সর্বোচ্চ ব্যবহার করতে চাই আমরা। অফডকগুলোর পরিচালন সক্ষমতায় গতি আনতে আমদানিকারকদের দ্রুত কনটেইনার ডেলিভারি নেওয়ার ওপর গুরুত্বারোপ করেন বিকডার এই সচিব। বন্দর চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এস এম আবুল কালাম আজাদ বলেন, সাধারণ ছুটি বাড়ানোর কারণে কনটেইনার স্টোর রেন্টেও ছাড়ের সময় বাড়ানো হয়েছে। ব্যবসায়ীরা যাতে এই সুবিধা নিয়ে দ্রুত পণ্য খালাস করেন। এছাড়া অফডকে প্রায় সব ধরনের আমদানি পণ্যের কনটেইনার স্থানান্তরের সুযোগ তৈরি হওয়ায় বন্দরের কনটেইনার ডেলিভারিতে দ্রুততম সময়ের মধ্যে গতি এসেছে। 

বন্দর চেয়ারম্যান আরও বলেন, প্রধান এই দুই পদক্ষেপে কনটেইনার খালাসের হার বাড়ায় আগের চেয়ে বন্দরের কার্যক্রম বেড়েছে। বন্দর ব্যবহারকারী ফোরামের সভাপতি মাহবুবুল আলম বলেন, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড ও বন্দর কর্তৃপক্ষ বিজিএমইএ, বিকেএমইএসহ ব্যবসায়ী সংগঠনের অনুরোধে যে পদক্ষেপগুলো নিয়েছে, তা খুবই ইতিবাচক। এসব কারণে বন্দরের কনটেইনার ডেলিভারিতে গতি ফিরে এসেছে। এই যাত্রা অব্যাহত যেন থাকে সেদিকে ব্যবসায়ীদের দৃষ্টি রাখতে হবে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর