রবিবার, ১০ মে, ২০২০ ০০:০০ টা

আক্রান্ত স্বাস্থ্যকর্মীদের দুর্দশা পরীক্ষায় হয়রানি

ময়মনসিংহ

ময়মনসিংহ প্রতিনিধি

গত শুক্রবার ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ (মমেক) হাসপাতালের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের করোনাভাইরাসে আক্রান্ত এক চিকিৎসকের নিজ বাসায়

শ্ব^াসকষ্ট শুরু হয়। দ্রুতই এক্স-রে, ইসিজি ও রক্তের বিভিন্ন পরীক্ষার প্রয়োজন পড়ে। কিন্তু হাসপাতাল কতৃপক্ষ দ্রুত কোনো ব্যবস্থাই নেয়নি। পরে বিকালে পরীক্ষা-নিরীক্ষার ব্যবস্থা হয় হাসপাতালের ওয়ান স্টপ সার্ভিসে। এমন দাবি একাধিক চিকিৎসকের। চিকিৎসকরা জানান, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি ছিল, পোর্টেবল এক্সরে, ইসিজি ও রক্তের বিভিন্ন পরীক্ষার প্রয়োজন হলে আক্রান্ত সহকর্মীদের বাসায় গিয়ে পরীক্ষা করানোর। সতীর্থরা বলছেন, নিজ কর্মস্থলে তারা চিকিৎসার সুযোগ পাচ্ছেন না। আইসোলেশনে থাকা চিকিৎসকসহ অন্যান্য স্বাস্থ্যকর্মীদের অন্তত পাঁচজন শ্বাসকষ্টে ভুগছেন। অক্সিজেন সিলিন্ডার নিয়ে টানাটানি, এক্সরে, ইসিজিসহ অন্যান্য ল্যাব পরীক্ষায় হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে। মমেক সূত্র জানায়, গত শুক্রবার পর্যন্ত হাসপাতালের ৩২ জন চিকিৎসক আক্রান্ত হয়েছেন কভিড-১৯ ভাইরাসে। এ ছাড়াও ৩০ জন নার্স ও অন্যান্য স্বাস্থ্যকর্মী রয়েছেন আরও ৩৪ জন। সব মিলিয়ে গত শুক্রবার পর্যন্ত ৯৬ জন স্বাস্থ্যকর্মী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত। আর উপজেলায় ছয় চিকিৎসকসহ ২৬ জন স্বাস্থ্যকর্মী রয়েছেন। আক্রান্ত এসব স্বাস্থ্যকর্মীদের অধিকাংশই নিজ আবাসস্থলের আইসোলেশনে। বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের ময়মনসিংহ জেলা শাখার সভাপতি ডা. মতিউর রহমান ভুঁইয়া উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, ‘চিকিৎসকদের বিষয়ে জেলা প্রশাসনের আন্তরিকতা যথেষ্ট। কিন্তু হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তহীনতায় আক্রান্ত স্বাস্থ্যকর্মীরা এখন প্রতিনিয়ত আতঙ্কে ভুগছেন। এমনকি যারা সেবা দিচ্ছেন তারাও উৎকণ্ঠায় আছেন।’ তিনি বলেন, ‘হাসপাতালের নতুন যে ভবনটি করোনা ডেডিকেটেড করার কথা সেটি নিয়েও জটিলতা তৈরি হয়েছে। খুব দ্রুতই করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতাল তৈরি না হলে সিলেটের চিকিৎসক মরহুম মইনের ভাগ্যই বরণ করতে হবে এখানকার অনেক স্বাস্থ্যকর্মীকে।’

জানতে চাইলে মমেক হাসপাতালের মুখপাত্র ডা. মো. জাকিউল ইসলাম জানান, এক্সরে মেশিনটা ভারী হওয়ায় উপরে তুলতে সমস্যা হয়। তবে খুব শিগগিরই এসব বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর