রবিবার, ১০ মে, ২০২০ ০০:০০ টা

করোনার মধ্যেও উৎসবের আমেজ!

শপিং মল ও দোকানপাটে ভিড় করছেন ক্রেতারা

সামছুজ্জামান শাহীন, খুলনা

করোনার মধ্যেও উৎসবের আমেজ!

খুলনার প্রাণকেন্দ্র ডাকবাংলা ও বড় বাজার স্টেশন রোড এলাকা। করোনাভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকি থাকলেও হঠাৎ করেই বাজার এলাকায় জনসমাগম বাড়তে শুরু করেছে। সেই সঙ্গে শপিং মল ও দোকানপাটে ভিড় করছেন ক্রেতারা। কোথাও সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার নির্দেশনা মানছেন না কেউ। সরেজমিনে দেখা গেছে, প্রতিদিন সকাল থেকেই ক্রেতা-বিক্রেতার পদচারণায় সরগরম থাকছে বড় বাজার স্টেশন রোড এলাকা।

একই ধরনের চিত্র নগরীর শেখপাড়া, গল্লামারী, রূপসা, ময়লাপোতা মোড়, দৌলতপুর ও খালিশপুর বাজার কেন্দ্রিক এলাকাগুলোতে। অহরহ খুলেছে কাপড়ের দোকান, হার্ডওয়্যার, স্টেশনারি, ইলেক্ট্রনিক্সের দোকান। উৎসবের আমেজে স্বাভাবিক সময়ের মতোই সড়কে চলাচল করছেন লোকজন। দোকানের ফটক আংশিক খুলে  ভিতরে কেনাবেচা করছেন অনেকে।

সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন)’র জেলা সম্পাদক অ্যাডভোকেট কুদরত-ই খুদা বলেন, অঘোষিত লকডাউন কিছুটা শিথিল হতেই নানা অজুহাতে বাইরে বের হয়েছে অসংখ্য মানুষ। সীমিত পরিসরে শপিং মল ও দোকান খোলার অনুমতি দেওয়া হলেও লোকজন যেভাবে ঘর থেকে বের হয়ে আসছে তাতে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করাটা কঠিন হয়ে পড়বে। খুলনা সিভিল সার্জন ডা. সুজাত আহমেদ বলেন, পরিস্থিতি ক্রমশঃ জটিল হলেও সাধারণ মানুষের মধ্যে উদাসীনতা দেখা যাচ্ছে।

এরই মধ্যে খুলনার সোনাডাঙ্গা, দৌলতপুর, রূপসা ও দাকোপে ১৭ জন করোনা  রোগীর সন্ধান মিলেছে। এর মধ্যে মারা গেছে ২ জন। সারা দেশেই আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ায় জনসমাগম ঘটিয়ে বেচাকেনার ফলে ঝুঁকি বাড়ছে।

এদিকে ঈদের আগে শপিং মল ও দোকান খুললে করোনা সংক্রমণ ভয়াবহ হতে পারে মনে করছেন ব্যবসায়ী নেতারা। খুলনা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাষ্ট্রির সভাপতি কাজী আমিনুল হক বলেন, দোকানপাট খোলার বিষয়ে দ্বিধা-দ্বন্দ্বে রয়েছে ব্যবসায়ীরা। এরই মধ্যে ঈদ পর্যন্ত খুলনার জুয়েলারি দোকান বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে। তাদের প্রায় ৮ হাজার কর্মচারি রয়েছে, যারা শহরের বাইরে থেকে আসে। এছাড়া নিউ মার্কেট, শপিং কমপ্লেক্স, জলিল চেম্বারসহ অভিজাত শপিং মলের মালিক সমিতির সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। করোনা প্রতিরোধে পরিস্থিতি বিবেচনায় দোকানপাট চালু রাখার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর