রবিবার, ১০ মে, ২০২০ ০০:০০ টা

তৃতীয় দফায় ২ হাজার ৩২৯ বন্দী মুক্ত

বন্দী আক্রান্ত নেই, জ্বর-সর্দি-কাশি হলেই আইসোলেশনে

নিজস্ব প্রতিবেদক

করোনাভাইরাস মহামারীর মধ্যে কারাগারগুলোয় ভিড় কমাতে প্রায় ৩ হাজার সাজাপ্রাপ্ত কয়েদিকে মুক্তি প্রক্রিয়ার তৃতীয় ধাপে ২ হাজার ৩২৯ জনকে মুক্তি দেওয়া হচ্ছে। তিন মাস সাজা খাটা এসব বন্দীকে মুক্তি দেওয়ার নির্দেশনা এরই মধ্যে কারাগারগুলোয় পাঠানো হয়েছে। অন্যদিকে কারারক্ষী আক্রান্ত হলেও গতকাল পর্যন্ত কোনো বন্দী আক্রান্ত না হওয়ায় কিছুটা স্বস্তিতে কারা প্রশাসন। জ্বর-সর্দি-কাশি হলেই আইসোলেশনে রাখা হচ্ছে তাদের। অতিরিক্ত কারা মহাপরিদর্শদক কর্নেল আবরার হোসেন বলেন, কারাগারগুলোয় ২ হাজার ৩২৯ জনের তালিকা পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। শুক্রবার এর বাস্তবায়ন শুরু হয়েছে। ছয় মাস থেকে এক বছর সাজা ভোগকারী, তিন মাস থেকে ছয় মাস সাজা ভোগকারী এবং তিন মাস পর্যন্ত সাজা ভোগকারী বন্দীরা মহামারীর কারণে এই মুক্তির সুযোগ পাচ্ছেন। জানা গেছে, ফৌজদারি কার্যবিধির ৪০১(১) ধারার প্রদত্ত ক্ষমতাবলে ২ হাজার ৮৮৪ জন বন্দীর অবশিষ্ট কারাদন্ড মওকুফ করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এসব বন্দীকে মুক্তির সময় জরিমানার অর্থ আদায় নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে। সে হিসেবে ২ মে প্রথম ধাপে ছয় মাস থেকে এক বছর সাজা ভোগকারী ১৭০ জনকে মুক্তি দেওয়া হয়েছিল।

গত রবিবার থেকে দ্বিতীয় ধাপে মুক্তি পান ৩৮৫ জন বন্দী। এবার মুক্তি দেওয়া হচ্ছে বাকি ২ হাজার ৩২৯ জন বন্দীকে। এ ধাপে ঢাকা বিভাগের কারাগারগুলো থেকে ৯৫৩ জন বন্দী মুক্তি পাচ্ছেন। ময়মনসিংহ বিভাগ থেকে ৭৭ জন বন্দীর প্রায় অনেককেই মুক্তি দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন উপ-কারা মহাপরিদর্শক জাহাঙ্গীর আলম।

যশোর বিভাগের অতিরিক্ত কারা মহাপরিদর্শক ছগীর মিয়া বলেন, ‘খুলনা বিভাগে তৃতীয় ধাপে মুক্তি পাচ্ছেন ১৫৮ জন বন্দী। আজ (গতকাল) তাদের মুক্তি দেওয়া হয়েছে।’

কারাসূত্র বলছেন, দেশে ৬৮টি কারাগারে ৯০ হাজারের মতো বন্দী রয়েছেন, যা কারাগারগুলোর ধারণক্ষমতার কয়েক গুণ বেশি। কভিড-১৯ অতিমাত্রায় ছোঁয়াচে বলে কারাগারগুলোয় ঝুঁকির মাত্রা অত্যন্ত বেশি। সেজন্য বন্দীর চাপ কমানোর উদ্যোগ নেয় সরকার। তবে গতকাল পর্যন্ত কোনো কারাগারের বন্দী করোনা আক্রান্ত হননি। নাজিমউদ্দিন রোডের পুরাতন কারাগারের স্টাফ কোয়ার্টার থেকে বিভিন্ন হাসপাতালে বন্দীদের ডিউটি দেওয়ার সময় কয়েকজন কারারক্ষী এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন।

কর্নেল আবরার জানান, ‘এটা স্বস্তির খবর যে এখন পর্যন্ত কোনো কারাগারের কোনো বন্দী আক্রান্ত হননি। নতুন কোনো বন্দীকে কারাগারে আনা হলে তাকে ১৪ দিন আলাদা রাখা হচ্ছে এবং এর পরই তাকে অন্য বন্দীদের সঙ্গে রাখা হচ্ছে। বিষয়টি নিশ্চিত করার জন্য সব কারাগারে বিশেষ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এটি নিশ্চিত হচ্ছে কিনা সদর দফতর থেকে তা তদারক করা হচ্ছে। বন্দীদের মধ্যে কারও জ্বর-ঠান্ডা দেখা দিলেই তাকে আলাদাভাবে রাখা হচ্ছে।’

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর