রবিবার, ১০ মে, ২০২০ ০০:০০ টা

রোহিঙ্গা ইস্যুটি পরবর্তী জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে তুলবে তুরস্ক

অর্থনীতি সহায়তার আহ্‌বান ড. মোমেনের

কূটনৈতিক প্রতিবেদক

রোহিঙ্গা ইস্যুটি তুরস্কের পক্ষ থেকে পরবর্তী জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে উঠানোর প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেছেন তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেভলুট কাভুসগলুর। তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী গতকাল পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেনের সঙ্গে ফোনে আলাপকালে এসব কথা বলেন। এ সময় তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশে অবস্থানরত মিয়ানমারের রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে সে দেশে প্রত্যাবর্তনে তুরস্ক সব ধরনের সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে বলে উল্লেখ করেন। এ সময় তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশকে এক লাখ সার্জিক্যাল মাস্কসহ এন-৯৫ মাস্ক সহায়তা দেওয়ার আগ্রহ প্রকাশ  করেন। ঢাকার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেন পরবর্তী বছর ডি-৮ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হওয়ার বর্তমান পরিস্থিতিতে সম্মেলনের প্রস্তুতির জন্য মহাপরিচালক পর্যায়ের কমিশনারদের ভার্চুয়াল সেশন আয়োজনের অনুরোধ জানান।

করোনা-পরবর্তী পরিস্থিতিতে অর্থনৈতিক সহযোগিতা জোরদার করার জন্য ডি-৮’র একটি ওয়ার্কিং গ্রুপ প্রতিষ্ঠা করার জন্য তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে অনুরোধ করেন ড. মোমেন। এসব বিষয়ে তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশের প্রস্তাবে সম্মতি প্রকাশ করেন। বর্তমান তুরস্ক ডি-৮ এর সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছে। স্বল্পোন্নত দেশের জন্য জি-২০ এর বরাদ্দকৃত সাত ট্রিলিয়ন ডলার থেকে বাংলাদেশ যেন সহযোগিতা পায় সে বিষয়ে জি-২০ এর সদস্য রাষ্ট্র হিসেবে তুরেস্কের সহযোগিতা প্রত্যাশা করেন ড. মোমেন।

এ সময় পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওআইসি পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সঙ্গে সা¤প্রতিক বৈঠকে দেওয়া কভিড-১৯ রিকোভারি অ্যান্ড রেসপন্স ফান্ড গঠনের প্রস্তাবের বিষয়ে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার অনুরোধ করেন।

ড. মোমেন উল্লেখ করেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে কর্মরত বাংলাদেশের শ্রমিকদের অনেকে আর্থিক ও খাদ্য সংকটে আছে। বাংলাদেশি প্রবাসীরা যেন তাদের চাকরি বহাল রাখতে পারে সে বিষয়ে তুরস্কের সহযোগিতা কামনা করেন। তাছাড়া যদি কোনো শ্রমিক দেশে ফেরত আসেন তবে তারা যেন কমপক্ষে ছয় মাসের বেতনের সমপরিমাণ আর্থিক সহায়তা পান সে বিষয়ে তিনি তুরস্কের সহযোগিতা চান। করোনার কারণে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের গার্মেন্ট খাতকে সমস্যাসংকুল উল্লেখ করে ড. মোমেন বিভিন্ন দেশের ক্রেতারা যাতে বাংলাদেশের গার্মেন্ট খাতে ক্রয়াদেশ বাতিল না করেন সে বিষয়ে তুরস্কের সহযোগিতা কামনা করেন। করোনা পরবর্তী পরিস্থিতিতে খাদ্য নিরাপত্তার বিষয়ে একত্রে কাজ করার ক্ষেত্রে ড. মোমেনের প্রস্তাবে তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সম্মতি প্রকাশ করেন। উভয় দেশের বাণিজ্য বাড়াতে কভিড-১৯ পরবর্তী সময়ে উদ্যোগ নিতে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন দুই দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর