সোমবার, ১১ মে, ২০২০ ০০:০০ টা

ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ নেতা রানা হামিদের ইন্তেকাল

নিজস্ব প্রতিবেদক

ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ নেতা রানা হামিদের ইন্তেকাল

স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের অন্যতম নেতা, আওয়ামী লীগের সাবেক সহ-সম্পাদক রানা হামিদ ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। শনিবার রাত সাড়ে ১১টায় রাজধানীর শ্যামলীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন তিনি। দীর্ঘদিন ধরে তিনি পাকস্থলীর ক্যান্সার ও কিডনি সমস্যায় ভুগছিলেন। তিনি স্ত্রী, এক মেয়েসহ বহু আত্মীয় স্বজন ও গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। গতকাল বাদ জোহর নিজ জেলা নেত্রকোনার কাইলাটি ইউনিয়নের বালি গ্রামে জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়েছে। ছাত্রজীবনে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বাসদ ছাত্রলীগের সভাপতি ছিলেন। ১৯৮৩ ও ১৯৮৪ সালে বেশ কয়েকটি ছাত্র সংগঠনের সমন্বয়ে গড়ে উঠা ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের প্রথম সারির নেতা ছিলেন। এরপর আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন। ২০০১-২০০৭ সাল পর্যন্ত বিএনপি-জামায়াত ও তত্ত্বাবধায়ক সরকার আমলে জুলুম নির্যাতনের বিরুদ্ধে রাজপথে সক্রিয় ছিলেন রানা হামিদ। রাজনীতি ছাড়াও চলচ্চিত্র প্রযোজক, পরিচালক, অভিনেতা হিসেবে রানা হামিদ খ্যাতি অর্জন করেছিলেন। ১৯৯০  থেকে ২০০০ সাল পর্যন্ত তিনি ১০টির মতো ছবিতে কাজ করেছিলেন। ছবিগুলো ছিল তার নিজের প্রযোজনা সংস্থার। তার প্রথম ছবি ছিল ‘ক্ষমতাবান’, দ্বিতীয় ছবি ‘সন্ত্রাসী রাজা’। অভিনয়ের পাশাপাশি তিনি তার নিজস্ব প্রযোজনা সংস্থা রানা চলচ্চিত্রের ব্যানারে শাকিব খান, শাবনুর ও ফেরদৌস অভিনীত ‘সবার উপরে  প্রেম’ চলচ্চিত্র প্রযোজনা করেন। এছাড়া ‘বিলেত ফেরত মেয়ে’ চলচ্চিত্রের পরিচালক ছিলেন তিনি। রানা হামিদের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ। পৃথক বাণীতে তারা প্রয়াতের আত্মার শান্তি কামনা করেন ও শোকাহত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।  অপর এক বার্তায় রানা হামিদের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ, সমাজ কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী আশরাফ আলী খান খসরু প্রমুখ। এছাড়াও শোক প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশ শিল্পী সমিতির সভাপতি মিশা সওদাগরসহ আরও অনেকে। গতকাল জানাজায় সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আশরাফ আলী খান খসরুসহ সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীসহ সর্বস্তরের মানুষ অংশ নেয়। তার মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

 

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর