উন্নত বিশ্বের সঙ্গে সমন্বয় করে বিস্ফোরক পরিদফতরকে আধুনিক করা প্রয়োজন। এজন্য প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়াতে হবে এবং কারিগরি জ্ঞানসম্পন্ন অধিক লোকবল নিয়োগ দেওয়া উচিত। এ ছাড়াও বিস্ফোরক পরিদফতরের কার্যক্রম জনবান্ধব করার উদ্যোগ অব্যাহত রাখতে হবে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। প্রতিমন্ত্রী গতকাল তার বাসভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে অনুষ্ঠিত ‘বিস্ফোরক পরিদফতর, ভূতাত্তি¡ক জরিপ অধিদফতর, হাইড্রোকার্বন ইউনিট ও খনিজ সম্পদ উন্নয়ন ব্যুরোর কার্যক্রম ও অগ্রগতি পর্যালোচনা সভায় এসব কথা বলেন। হাইড্রোকার্বন ইউনিটের কার্যক্রম নিয়ে তিনি বলেন, হাইড্রোকার্বন ইউনিটকে আমরা জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের পেট্রোলিয়াম ও মিনারেল খাতের থিঙ্কট্যাংক হিসেবে দেখতে চাই।
নতুন কোনো বিষয় বা নতুন কোনো ধারণা, জ্বালানির ব্যবহার বা ভবিষ্যৎ জ্বালানি নিয়ে প্রতিষ্ঠানটি গবেষণা করবে। মানবসম্পদ উন্নয়নেও হাইড্রোকার্বন ইউনিট দায়িত্ব নিতে পারে। এ সময় তিনি খনিজ সম্পদ উন্নয়ন ব্যুরোকে মন্ত্রণালয় ও জেলা পর্যায়ে আরও সমন্বিতভাবে কাজ করার নির্দেশ দেন। এ ছাড়াও লৌহা খনির সঠিক অবস্থা নির্ণয়ের সঙ্গে সঙ্গে বাণিজ্যিকভাবে তা লাভজনক কিনা সে বিষয়ে প্রয়োজনীয় ফিজিবিলিটি স্টাডি করার নির্দেশ দেন তিনি।
ভার্চুয়াল এই সভায় অন্যান্যের মাঝে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. আনিছুর রহমান, খনিজ সম্পদ উন্নয়ন ব্যুরোর মহাপরিচালক মো. জাফর উল্লাহ, হাইড্রোকার্বন ইউনিটের মহাপরিচালক এ এস এম মঞ্জুরুল কাদের, ভূতাত্তি¡ক জরিপ অধিদফতরের মহাপরিচালক মোহাম্মদ নিজাম উদ্দিন ও বিস্ফোরক পরিদফতরের প্রধান বিস্ফোরক পরিদর্শক মো. মঞ্জুরুল হাফিজ উপস্থিত ছিলেন।