বরিশাল বিশবিদ্যালয়ের (ববি) ভূতত্ত্ব ও খনিবিদ্যা বিভাগের শিক্ষক ইলিয়াস মাহমুদের গবেষণা প্রবন্ধ বিশখ্যাত গবেষণা প্রকাশনা সংস্থা নেচার ইনডেক্সে প্রকাশিত হয়েছে। এর মাধ্যমে গবেষণায় বিশমানের স্বীকৃতি অর্জন করল ববি। ৩০ এপ্রিল নেচার ইনডেক্স চলতি বছরের প্রকাশনা উন্মুক্ত করেছে। নেচার ইনডেক্স হচ্ছে গবেষক ও তার প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে অন্য প্রতিষ্ঠানের পারস্পরিক সম্পর্ক গঠনের মাধ্যম। যুক্তরাজ্য ভিত্তিক একাডেমিক ও প্রযুক্তিগত গবেষণা প্রকাশনা সংস্থা ‘নেচার’ প্রতিবছর প্রকৃতিগতভাবে মানুষ কীভাবে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় অথবা রোগ বালাইয়ের বিরুদ্ধে লড়াই করে তা নিয়ে মানসম্পন্ন গবেষণাপত্র প্রকাশ করে থাকে। প্রতিবছর বিশমানের ৮২টি গবেষণাপত্রের লেখক ও তাদের প্রতিষ্ঠানকে ন্যাচার ইনডেক্সে অন্তর্ভুক্ত করে থাকে। তাদের কাজ সেই বছরের উচ্চ মানসম্পন্ন গবেষণা কাজের নির্দেশক হিসেবে ধরা হয়।
ঢাকার মহাখালীর আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র (আইসিডিডিআরবি), ঢাকা বিশবিদ্যালয় ও আমেরিকার বেসরকারি কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের সহযোগিতায় ববি শিক্ষক ইলিয়াস মাহমুদের ‘পিট লেট্রিন (আধাপাকা টয়লেট) থেকে ভূগর্ভস্থ পানি দূষণ কমানো’ বিষয়ক গবেষণাপত্র আমেরিকান কেমিক্যাল সোসাইটি (এসিএস) থেকে প্রকাশিত গবেষণা পত্রিকা ইনভায়রনমেন্টাল সাইন্স অ্যান্ড টেকনোলজিতে প্রকাশিত হয় গত বছর। সেই গবেষণাপত্রের পরিপ্রেক্ষিতে শিক্ষক ইলিয়াস মাহমুদের কর্মক্ষেত্র ববি এ বছর নেচার ইনডেক্সের অন্তর্ভুক্ত হয়। যা বিশবিদ্যালয়কে দিয়েছে বিশেষ সম্মাননা। ২০১৮ সালের পয়লা ডিসেম্বর থেকে ২০১৯ সালের ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত ‘নেচার’ ইনডেক্স পরিচালিত জরিপে বাংলাদেশি গবেষকদের ৩৭টি গবেষণাপত্র স্থান পেয়েছে। যা প্রকাশ হয়েছে ২০২০ সালে। যার মধ্যে সবচেয়ে বেশি ১৪টি গবেষণাপত্র রয়েছে আইসিডিডিআরবির। এরপর আটটি গবেষণাপত্র নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে ঢাকা বিশবিদ্যালয়। ব্র্যাক বিশবিদ্যালয়ের রয়েছে তিনটি। এ ছাড়াও বাংলাদেশ কৃষি বিশবিদ্যালয়, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশবিদ্যালয়, বরিশাল বিশবিদ্যালয়সহ আরও কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের একটি করে গবেষণাপত্র অন্তর্ভুক্ত হয়েছে ‘নেচার’ ইনডেক্সে-২০২০ এ।
নিজের গবেষণাপত্র আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন গবেষণা সংস্থায় স্থান পাওয়ার বিষয়ে ববি শিক্ষক ইলিয়াস মাহমুদ বলেন, একজন শিক্ষক ও গবেষক হিসাবে এমন স্বীকৃতি অনেক বড় পাওয়া। এ অর্জন আগামী দিনের কাজে তাকে আরও উৎসাহিত করবে।বরিশাল বিশবিদ্যালয় শিক্ষকের গবেষণাকর্ম আন্তর্জাতিক গবেষণা প্রকাশনী সংস্থায় স্থান পাওয়ায় উৎফুল্ল বিশবিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. ছাদেকুল আরেফিন।