মঙ্গলবার, ১২ মে, ২০২০ ০০:০০ টা

গণমাধ্যমকর্মী ছাঁটাই বন্ধ ও বেতন-ভাতা পরিশোধ করুন : তথ্যমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক

গণমাধ্যমকর্মী ছাঁটাই বন্ধ ও বেতন-ভাতা পরিশোধ করুন : তথ্যমন্ত্রী

গণমাধ্যমকর্মীদের চাকরিচ্যুতি বন্ধ ও তাদের বকেয়া বেতন-ভাতা পরিশোধ করতে প্রতিষ্ঠান কর্ণধারদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। গতকাল ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) ব্র্যাকের সহায়তায় ‘করোনাভাইরাস সংক্রমণের নমুনা সংগ্রহ বুথ’ উদ্বোধনকালে তিনি এ আহ্বান জানান। হাছান মাহমুদ বলেন, করোনা দুর্যোগ পরিস্থিতির মধ্যেও আমরা দুঃখের সঙ্গে লক্ষ্য করছি, কিছু মিডিয়া হাউসে চাকরিচ্যুতি ঘটেছে, অনেকের বেতন দেওয়া হয়নি। আমি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান যেমন সংবাদপত্র, টেলিভিশন, অনলাইন কর্ণধারদের প্রতি বিনীত অনুরোধ জানাই, মহামারীর এই দুঃসময়ে দয়া করে কাউকে চাকরিচ্যুত করবেন না এবং যাদের বেতন বাকি আছে, তা দিয়ে দিন। হাছান মাহমুদ বলেন, ‘কারও অপরাধ থাকলেও, শাস্তি দেওয়ার সময় এটি নয়। প্রতিষ্ঠান প্রধানরা হয়তো বলবেন, সমস্যা আছে, কিন্তু আমি বলব, আগে সমস্যা ছিল না এবং কয়েক মাস পরও সমস্যা থাকবে না। সাংবাদিকদের বেতন-ভাতা যাতে ঠিকমতো হয়, সেজন্য সরকারের পক্ষ থেকে অনেকগুলো পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, ক্রোড়পত্রের বিল দেওয়ার ব্যবস্থা করছি আমরা। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে ৫৮টি মন্ত্রণালয় ও বিভাগকে চিঠি দিয়ে বলা হয়েছে, তাদের সংস্থা থেকে গণমাধ্যমের যত বিল বাকি আছে, সেগুলো পরিশোধের জন্য। আমাদের মন্ত্রণালয় থেকেও একটি তাগিদপত্র দেওয়া হচ্ছে। এসব বিলের পরিমাণ শত শত কোটি টাকা। মালিকপক্ষ নিশ্চয়ই যোগাযোগ রাখছেন এবং তারা শিগগিরই বিল পাবেন। ইতিপূর্বে কখনো এ ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি, এরূপ চিঠিও দেওয়া হয়নি। এখন দেওয়া হয়েছে, যাতে গণমাধ্যম, বিশেষত সংবাদপত্রে কারও বেতন-ভাতা বকেয়া না থকে সেজন্য।’

ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘আমি সবসময় মন্ত্রী ছিলাম না, কিন্তু সাংবাদিকদের সঙ্গে ছিলাম। এখন আমার দায়িত্ব আপনাদের সঙ্গে থাকা, আমি আছি। যখন মন্ত্রী থাকব না, তখনো আপনাদের সঙ্গে থাকব। সাংবাদিকদের বিপদে-আপদে সাহায্য করা ও কল্যাণের জন্য প্রধানমন্ত্রী সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট প্রতিষ্ঠা করেছেন। আমিও সবসময় আপনাদের সঙ্গে রয়েছি।’ ডিআরইউ সভাপতি রফিকুল ইসলাম আজাদের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক রিয়াজ চৌধুরীর পরিচালনায় অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের পরিচালক (পরিকল্পনা ও গবেষণা) ও কভিড-১৯ রেসপন্স প্রকল্প পরিচালক অধ্যাপক ডা. ইকবাল কবীর, আওয়ামী মৎস্যজীবী লীগ সভাপতি সাইদুর রহমান সাইদ, সাধারণ সম্পাদক শেখ আজগর নস্কর, ডিআরইউর সহ-সভাপতি নজরুল কবীর, কল্যাণ সম্পাদক খালেদ সাইফুল্লাহ, আওয়ামী মৎস্যজীবী লীগের কেন্দ্রীয় সদস্য শফিউল আলম শফিক প্রমুখ। স্বাস্থ্য অধিদফতর ও আওয়ামী মৎস্যজীবী লীগের পক্ষ থেকে দেওয়া স্বাস্থ্য সুরক্ষাসামগ্রী ডিআরইউ নেতাদের হাতে তুলে দেন তথ্যমন্ত্রী।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর