বুধবার, ১৩ মে, ২০২০ ০০:০০ টা

করোনা দুর্যোগে ঈদের ভিজিএফ বরাদ্দ আসেনি রংপুরে

সাড়ে ৫ লাখ দরিদ্র মানুষ হতাশায়

নজরুল মৃধা, রংপুর

করোনা দুর্যোগের কারণে নিম্ন আয়ের মানুষের অভাব কিছুতেই  ছাড়ছে না। আর কদিন পরে ঈদ-উল ফিতর। প্রতি ঈদে নিম্ন আয়ের দরিদ্র মানুষের ভরসা ছিল ভিজিএফ’র চাল। কিন্তু রংপুরে এখন পর্যন্ত ভিজিএফ’র কোনো প্রকার বরাদ্দ আসেনি। আসবে কিনা তাও অনিশ্চিত। কারণ সময় খুব কম। ভিজিএফ চাল না পেলে হতদরিদ্র সাড়ে ৫ লাখ মানুষ  বেকায়দায় পড়বে। ঈদের সময় ১০ কেজি চালই ছিল ওইসব পরিবারের একমাত্র ভরসা। জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন অফিস সূত্রে জানা গেছে, প্রতিবছর ১০ থেকে ১২ রমজানের মধ্যে ভিজিএফ-এর বরাদ্দ এলেও ১৮ রমজান পেরিয়ে গেলেও বরাদ্দ পাওয়ার কোনো লক্ষণ নেই। জেলা ত্রাণ  কর্মকর্তা বলছেন এখন পর্যন্ত ঢাকা থেকে ভিজিএফ-এর ব্যাপারে কোনো নির্দেশনা কিংবা কোনো প্রকার বরাদ্দের খবর পাওয়া যায়নি। বরাদ্দ আসবে কিনা এ বিষয়টি অনিশ্চিত। প্রতি বছর ঈদের সময় রংপুর জেলার ৮ উপজেলার ৭৬টি ইউনিয়ন এবং পীরগঞ্জ, বদরগঞ্জ ও হারাগাছ তিন পৌরসভায় প্রায় সাড়ে ৫ লাখ দরিদ্র ও দুস্থ পরিবারকে ১০ কেজি করে ভিজিএফ-এর চাল  দেওয়া হতো। জেলা প্রশাসনের নির্দেশনা ও তত্ত্বাবধানে সংশ্লিষ্ট উপজেলা প্রশাসন স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও ইউনিয়ন পর্যায়ের কমিটির সহযোগিতায় ভিজিএফ কার্ডধারী পরিবারের মধ্যে এই চাল বিতরণ করা হয়ে থাকে। কিন্ত এখন পর্যন্ত ভিজিএফ-এর চালের কোনো বরাদ্দ না আসায় প্রায় সাড়ে ৫ লাখ পরিবার হতাশ হয়ে পড়েছেন। করোনার কারণে এমনিতে এই মানুষগুলোর খাদ্য কষ্ট চরম সীমায় পৌঁছেছে। আশা ছিল ঈদের আগে আগে ভিজিএফ-এর চাল পাবেন কিন্তু সে আশা এখন তাদের দূরাশা হতে বসেছে।

 ভিজিএফ-এর বিষয়ে সরকারিভাবে এখন পর্যন্ত কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।

বিগত দিনের ভিজিএফ প্রাপ্ত রমজান, আলমগীরসহ কয়েক জনের সঙ্গে কথা হলে তারা জানান, করোনা প্রভাবে এমনিতেই দুমাস থেকে কর্মহীন অবস্থায় রয়েছি। ঈদের অগে ভিজিএফের চাল পরিবারের জন্য বিরাট সহায়তা হতো। কিন্তু এ পর্যন্ত চাল পাওয়ার কোনো সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে না। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা নিজেদের পছন্দের মানুষকেই সহায়তা দিতে বেশি পছন্দ করছেন। ফলে প্রকৃত অভাবী এবং কর্মহীন মানুষেরা ত্রাণ না পেয়ে চরম বেকায়দায় রয়েছে। এরপর ভিজিএফ-এর চাল যদি না পাওয়া যায় তাহলে বেকায়দায় পড়তে হবে তাদের। 

জেলা পুনর্বাসন ও ত্রাণ কর্মকর্তা আখতারুজ্জামান জানান, প্রতিবছর রমজানের শুরুতেই ভিজিএফ-এর বরাদ্দ এসে যায়। এবার এখন পর্যন্ত ভিজিএফ-এর কোনো বরাদ্দ আসেনি। হাতে সময় খুবই কম। এই অল্প সময়ে ভিজিএফ’র  বরাদ্দ আসার সম্ভাবনা খুবই ক্ষীণ।

সর্বশেষ খবর