বুধবার, ১৩ মে, ২০২০ ০০:০০ টা

করোনার জিনোম সিকোয়েন্স উদ্ঘাটন করেছে বাংলাদেশ

ভাইরাসটির গতি-প্রকৃতি নির্ণয় করতে পারবেন গবেষকরা

নিজস্ব প্রতিবেদক

করোনার জিনোম সিকোয়েন্স উদ্ঘাটন করেছে বাংলাদেশ। চীন বা ইউরোপের সঙ্গে এ দেশের ভাইরাসের চরিত্রগত কোনো পরিবর্তন হয়েছে কিনা- সব প্রশ্নের উত্তর দিতে পারে জিনোম সিকোয়েন্সিং। গণমাধ্যমে গতকাল এ তথ্য জানিয়েছে চাইল্ড হেলথ রিসার্চ ফাউন্ডেশন। প্রতিষ্ঠানটির দাবি, তারাই সর্বপ্রথম এ জিনোম সিকোয়েন্সের কাজ শেষ করেছে। এর ফলে ভাইরাসটির গতি-প্রকৃতি নির্ণয় করতে পারবেন গবেষকরা।

ঢাকা শিশু হাসপাতালে চাইল্ড হেলথ রিসার্চ ফাউন্ডেশনের গবেষক ড. সেঁজুতি সাহার নেতৃত্বে গতকাল করোনার জিনোম সিকোয়েন্স উদ্ঘাটনের কাজ শেষ হয়। চাইল্ড হেলথ রিসার্চ ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক ড. সমীর কুমার সাহা গণমাধ্যমকে বলেন, ‘ভাইরাসটির গতি-প্রকৃতি ও ধরন সম্পর্কে আমাদের পরিষ্কার ধারণা দেবে জিনোম সিকোয়েন্স। এর ফলে আমরা জানতে পারব আমাদের এখানে ভাইরাসটি মোকাবিলায় কোন ধরনের ভ্যাকসিন বা ওষুধ প্রয়োগ করতে হবে।’

চার দিন আগে তার গবেষক টিম করোনার জিন রহস্য উন্মোচনে কাজ শুরু করে জানিয়ে তিনি বলেন, মঙ্গলবার কিছু সময় আগে সেই কাজ সম্পন্ন হয়েছে। করোনাভাইরাসের পরের ধাপের আরও স্ট্রেন নিয়েও তার গবেষক টিম কাজ করছে। এর আগে করোনাভাইরাসের জিনোম সিকোয়েন্সের গুরুত্ব সম্পর্কে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় করোনাভাইরাস রেসপন্স টেকনিক্যাল কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. শরীফ আখতারুজ্জামান বলেন, ‘এখন পর্যন্ত মোটা দাগে নভেল করোনাভাইরাসের তিনটি ধরনের কথা জানা গেছে। বাংলাদেশে কোন ধরনটি প্রভাব বিস্তার করছে বা মিউটেশনের মাধ্যমে নতুন কোনো ধরন সৃষ্টি হয়েছে কিনা তা জানা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এটি নিয়ে আমরা ব্যাকগ্রাউন্ডে কাজ করছি।’

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড বায়োটেকনোলজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. মুশতাক ইবনে আয়ূব গণমাধ্যমকে বলেন, ‘একটি ভাইরাস কতটুকু শক্তিশালী, তার সংক্রমণক্ষমতা কতটুকু- জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ের মাধ্যমে এ সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যাবে। পাশাপাশি ভাইরাসটি কোনো ভৌগোলিক পরিবেশে নতুন কোনো বৈশিষ্ট্য অর্জন করেছে কিনা সে সম্পর্কেও ধারণা পাওয়া যাবে এর মাধ্যমে।’

বাংলাদেশে ৮ মার্চ প্রথম করোনাভাইরাসের রোগী শনাক্ত হয়। করোনায় প্রথম মৃত্যুর খবর আসে ১৮ মার্চ। গতকাল পর্যন্ত বাংলাদেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১৬ হাজার ৬৬০। এ পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা ২৫০। সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৩ হাজার ১৪৭ জন।

সর্বশেষ খবর