বৃহস্পতিবার, ১৪ মে, ২০২০ ০০:০০ টা
বরিশালে বেচাকেনা, প্রশাসনের হুঁশিয়ারি

জমজমাট ঈদবাজারে করোনা ঝুঁকি

রাহাত খান, বরিশাল

তিন দিন ধরে চোর-পুলিশ খেলার পর শেষ পর্যন্ত সব দোকান খুলেছে বরিশালে। করোনা সংক্রমণ এড়াতে সিটি মেয়রের অনুরোধে নগরীর প্রধান বাণিজ্যিক কেন্দ্র চকবাজার-কাঠপট্টি-লাইনরোড-পদ্মাবতির বেশিরভাগ ব্যবসায়ী টানা তিন দিন দোকান বন্ধ রাখলেও অন্যান্য এলাকার দোকান খোলা থাকায় ব্যবসায়ী সমিতির দোকান বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত অকার্যকর হয়ে গেছে। এ কারণে গতকাল চকবাজার-কাঠপট্টি-লাইনরোড-পদ্মাবতি, সদর রোড, ফজলুল হক এভিনিউ, বটতলা, নতুনবাজার, নথুল্লাবাদসহ সব এলাকায় দোকানপাট খুলেছে।  তবে স্বাস্থ্যবিধি অনুযায়ী দোকান-মার্কেটের সামনে হাত ধোয়ার ব্যবস্থা, ব্লিচিংযুক্ত পাপোস, জীবাণুনাশক স্প্রে ও হ্যান্ড স্যানিটাইজার এবং শারীরিক দূরত্ব রক্ষার কোনো ব্যবস্থাই নেই। এ কারণে এবারের ঈদে ঘরে ঘরে করোনা ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। দোকান মালিকরাও স্বাস্থ্যবিধি রক্ষায় ব্যর্থতার দায় শিকার করেছেন। এদিকে জেলা প্রশাসন বলছে, তারা স্বাস্থ্যবিধি মানানোর জন্য জনগণকে উদ্বুদ্ধ করাসহ যথাযথ ব্যবস্থা নিচ্ছেন। এর পরও ব্যত্যয় হলে ফের বন্ধ হয়ে যেতে পারে মার্কেট-কেনাকাটা। গতকাল থেকে বরিশালের চকবাজার, কাঠপট্টি, লাইনরোড, পদ্মাবতিসহ সব এলাকার ঈদ বাজার কেন্দ্রিক দোকানপাঠ খুলেছে।

 গতকাল প্রথম দিন বিশেষ করে চকবাজার, কাঠপট্টি ও পদ্মাবতি এলাকায় তৈরি পোশাক, কাপড়, প্রসাধনী ও পাদুকার দোকানে প্রচুর ভিড় দেখা গেছে। এসব দোকানে শারীরিক দূরত্ব উপেক্ষা করে ক্রেতাদের একজন অপরজনের গা ঘেঁষে-গাদাগাদি করে পোশাক-কাড়প পছন্দ করতে ও কিনতে দেখা গেছে। ক্রেতা-বিক্রেতার শারীরিক দূরত্ব রক্ষাও স্বাস্থ্যবিধিতে সীমাবদ্ধ ছিল।

কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি মো. নুরুল ইসলাম বলেন, ঈদবাজারে কেনাকাটা করতে আসা ক্রেতারা বরিশালের মোট জনসংখ্যার এক ভাগ। ঈদ বাজারে করোনা ছড়াতে এই এক ভাগেরও প্রয়োজন নেই, একজনই যথেষ্ট বলে দাবি তার।

এদিকে সরকারি স্বাস্থ্যবিধি বাস্তবায়নে জেলা প্রশাসন থেকে গতকালও ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালিত হয়েছে। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. নাজমুল হুদার ভ্রাম্যমাণ আদালত গতকাল বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে মানুষকে স্বাস্থ্য সচেতন করার চেষ্টা করেছেন।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর