যুদ্ধাপরাধের দায়ে আমৃত্যু কারাদ-প্রাপ্ত জামায়াত নেতা মাওলানা দেলোয়ার হোসাইন সাঈদীর মুক্তির জন্য সাঈদীপুত্র এবং তারেক মনোয়ারের সঙ্গে বৈঠক করার অভিযোগে রকি বড়ুয়া ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে মামলা করেছে র্যাব। গতকাল নগরের পাঁচলাইশ থানায় এ সংক্রান্ত চারটি মামলা করা হয় বলে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কাশেম ভুঁইয়া জানিয়েছেন। ওসি বলেন, রকি বড়ুয়াসহ গ্রেফতার ৭ জন ও পলাতক একজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও কয়েকজনের বিরুদ্ধে র্যাব-৭ এর ডিএডি মো. রূপ মিয়া চারটি মামলা করেছেন। এরমধ্যে বিদেশি পিস্তল ও ৬ রাউন্ড গুলি উদ্ধারের ঘটনায় অস্ত্র আইনে, অবৈধভাবে বিদেশি মদ রাখায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে এবং দ-বিধির ৪২০, ৪১৬ ও ৫১১ ধারায় একটি মামলা হয়েছে রকি বড়ুয়া ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে। এছাড়া সরকারি কর্মকর্তার সঙ্গে ছবি তুলে মনোনয়ন পাইয়ে দেওয়ার প্রলোভন দেখানো, বেকারদের চাকরি দেওয়ার নাম করে খালি স্ট্যাম্পে স্বাক্ষরসহ বিভিন্ন ব্যাংকের চেক গ্রহণ ও যোগদানপত্র দিয়ে প্রতারণার মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে রকি বড়ুয়ার বিরুদ্ধে আরেকটি মামলা হয়েছে। এছাড়া আজীবন দ প্রাপ্ত দেলোয়ার হোসাইন সাঈদীকে বেআইনি ও ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে মুক্ত করার লক্ষ্যে গোপন বৈঠকের ঘটনায় রকি ও তার সহযোগিদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে ৬(২), ৮, ৯, ১০ ও ১২ ধারায় মামলা করা হয়েছে। প্রসঙ্গত, ১১ মে রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রকি বড়ুয়াকে গ্রেফতারে নগরের মোহাম্মদপুর এলাকার নুর ম্যানশন ভবনের বাসা ঘিরে ফেলে র্যাব। এসময় রকি বড়ুয়া তিন তলা থেকে লাফ দিয়ে পালানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু র্যাবের অভিযান দল রকি বড়ুয়া ও তার পাঁচসহযোগীকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।
পরে লালখান বাজার এলাকায় মেরিন কে এইচ টাওয়ারে রকি বড়ুয়ার বাসায় অভিযান চালিয়ে রকি বড়ুয়ার কথিত রক্ষিতাকেও গ্রেফতার করে র্যাব। র্যাব জানায়, গ্রেফতার হওয়া রকি বড়ুয়ার সহযোগীরা হলেন সফিউল আজম শহীদ (৪০), ছগির আহমদ (৪০), রুবেল বড়ুয়া (২৭), সাইফুল ইসলাম প্রকাশ নয়ন (৩৮), নারায়ণ মল্লিক (৩৪) ও শাহিনা ইসলাম প্রিয়া ওরফে আমেনা (২৪)। তিন তলা থেকে লাফিয়ে পালাতে গিয়ে দুই পা ভেঙে ফেলা রকি বড়ুয়া এখন চট্টগ্রাম মেডিকেলে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তার ৬ সহযোগীকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।