বৃহস্পতিবার, ১৪ মে, ২০২০ ০০:০০ টা

খুলনায় ব্যতিক্রমী ভ্রাম্যমাণ মৎস্য হাসপাতাল চালু

নিজস্ব প্রতিবেদক, খুলনা

করোনা পরিস্থিতিতে বিপাকে পড়েছেন খুলনার প্রত্যন্ত এলাকার মৎস্য চাষিরা। উপজেলা মৎস্য অফিসের কার্যক্রম সীমিত থাকায় মৌসুমের শুরুতে ঘেরের মাটি-পানি পরীক্ষা ও পরিমাণ মতো চুন-সার প্রয়োগ নিয়ে দুশ্চিন্তার শেষ নেই। এমন পরিস্থিতিতে ডুমুরিয়া উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তার উদ্যোগে চালু করা হয়েছে ব্যতিক্রমী ‘ভ্রাম্যমাণ মৎস্য হাসপাতাল’। ইজিবাইকে করে মাটি ও পানি পরীক্ষার সরঞ্জাম পিএইচ মিটার, ডিও মিটার, রিফ্রাক্টো মিটার নিয়ে ঘের প্রস্তুত টিমের সদস্যরা পৌঁছে যাচ্ছেন চাষির দ্বারপ্রান্তে। ঘেরের পাশে দাঁড়িয়েই মাটি-পানি পরীক্ষা, চুন, সার প্রয়োগ ও নিরাপদ মাছ চাষের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। এতে সুবিধাভাগী চাষিদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ তৈরি হয়েছে। ডুমুরিয়া উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা আবু বকর সিদ্দিক বলেন, করোনার কারণে যাতায়াত সীমিত থাকায় প্রত্যন্ত এলাকার চাষিরা উপজেলা মৎস্য অফিসে যেতে পারছেন না।

 এ কারণে ভ্রাম্যমাণ মৎস্য হাসপাতালের মাধ্যমে কৃষকের ঘেরে গিয়ে মাটি ও পানি পরীক্ষায় প্রাপ্ত ফলাফলের ভিত্তিতে পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। ঘের প্রস্তুত করতে কী পরিমাণ চুন ও সার প্রয়োগ করতে হবে, ভাইরাস দমনে ঘেরের চারপাশে বায়োসিকিউরিটির ব্লু নেট (নীল রঙের জাল) কীভাবে দিতে হয় তা হাতে কলমে শেখানো হচ্ছে। ডুমুরিয়ার প্রায় ২৬ হাজার ঘের ব্যবস্থাপনায় মৎস্য অফিসের ১১টি ভ্রাম্যমাণ টিম রয়েছে। করোনা পরবর্তী সময়ে মাছের ঘাটতি মোকাবিলায় চাষি, প্রকল্পের আওতায় থাকা আরডি চাষি, বন্ধু চাষি ও সিআইজি সমিতির সমন্বিত উদ্যোগে উপজেলা ঘের প্রস্তুত টিম কাজ করছে।

জানা যায়, মৎস্য হাসপাতালের মাধ্যমে আদর্শ পুকুর-ঘের প্রস্তুতকরণ ও তলদেশ জীবাণুমুক্তকরণ, ঘেরে রাক্ষুশে মাছ দমন, বায়োসিকিউরিটি ব্যবস্থা, মাছের প্রাকৃতিক খাদ্য তৈরির কৌশল, খাদ্য তৈরি পর্যবেক্ষণ, মাটি-পানি পরীক্ষা, মাছের আহরণ পদ্ধতি ও রোগ প্রতিরোধ সম্পর্কে চাষিদের সেবা দেওয়া হচ্ছে। একই সঙ্গে করোনা পরিস্থিতিতে যেসব চাষি মাছ বিক্রি করতে পারছেন না, ঘের থেকে তাদের মাছ কিনে ডুমুরিয়া প্রডিউসার অর্গানাইজেশনের মাধ্যমে তা ভোক্তার বাড়ি বাড়ি গিয়ে বিক্রি করা হচ্ছে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর