শুক্রবার, ১৫ মে, ২০২০ ০০:০০ টা

আগামী ৭-৮ মাস দেশে খাদ্যের সংকট হবে না

-কৃষিমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক

কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আবদুর রাজ্জাক বলেছেন, আগামী ৭-৮ মাস দেশে খাদ্যের কোনো সংকট হবে না। আমাদের বোরোর উৎপাদন ভালো হয়েছে, আমরা আউশের লক্ষ্যমাত্রা ২ লাখ মেট্রিক টন বাড়িয়েছি। পৃথিবীর অন্যান্য দেশে খাদ্যের সংকট হলেও আমাদের দেশে খাদ্যের সংকট হবে না। ধানের দাম নিয়ে গতকাল কৃষি মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষ থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে কৃষিমন্ত্রী এসব কথা বলেন। সংবাদ সম্মেলনে কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. নাসিরুজ্জামান, অতিরিক্ত সচিব ড. মো. আবদুর রৌফ এবং কৃষি বিপণন অধিদফতরের মহাপরিচালক মোহাম্মদ ইউসুফ উপস্থিত ছিলেন। আবদুর রাজ্জাক বলেন, সারা দেশে এ বছর ৪৭ লাখ ৫৪ হাজার ৪৪৭ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের আবাদ হয়েছে।

 ইতিমধ্যে হাওরের শতভাগ এবং সারা দেশের শতকরা ৪৮ ভাগ ধান কর্তন শেষ হয়েছে। চলতি বোরো মৌসুমে কৃষকরা তাদের উৎপাদিত ধানের ন্যায্যমূল্য পাবেন। দেশের বিভিন্ন এলাকা ভেদে মোটা ও চিকন  ধানের দাম বর্তমানে ৬৫০ টাকা থেকে ৮৫০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে। আমরা আশা করছি, এই দাম আরও বাড়বে এবং কৃষকরা ভালো দাম পাবেন। স্বাভাবিক অবস্থায় হাওরের বোরো ফসল প্রতি বছর কৃষকরা ৮০ থেকে ৮৫ শতাংশ ঘরে তুলতে পারেন। কিন্তু এই মৌসুমে আমরা হাওরের শতভাগ বোরো ফসল ঘরে তুলতে পেরেছি।

কৃষিমন্ত্রী বলেন, দেশে যাতে খাদ্যের সংকট না হয় সে জন্য প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে আমরা দেশের প্রতিটি পতিত জমিকে চাষের আওতায় নিয়ে আসছি। এখন থেকে এক ইঞ্চি জমিও পতিত থাকবে না। আমন মৌসুমে আমরা চেষ্টা করব ফসলের ফলন আরও বৃদ্ধি করার। এজন্য আমরা দক্ষিণাঞ্চলের লবণাক্ত জমি আমন চাষের আওতায় নিয়ে এসেছি। যদিও এই মৌসুমে বন্যাসহ নানা প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে অনেক সময় ফসলের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করা বেশ কঠিন হয়। তারপরও আমরা আমনেরও সর্বোচ্চ ফলনের প্রত্যাশা করছি। একই সঙ্গে রবিশস্য উৎপাদনে আমরা বড় উদ্যোগ নিচ্ছি। আগামী রবি মৌসুমে যাতে ব্যাপকভাবে সবজিসহ অন্যান্য ফসল কৃষক ব্যাপকভাবে আবাদ করে সে জন্য সব ধরনের সহযোগিতা করা হবে।

তিনি বলেন, শুধু ধান, শাকসবজি নয়, সঙ্গে পোলট্রি শিল্প, গবাদিপশু সেগুলোর ওপরে জোর দিতে হবে। করোনার দুর্যোগের কারণে কৃষকের প্রণোদনার বিষয়ে কৃষিমন্ত্রী আবদুর রাজ্জাক বলেন, আমরা বাংলাদেশ ব্যাংক ও অর্থ মন্ত্রণালয়কে বলেছি কৃষকদের ঋণ দেওয়ার ক্ষেত্রে মাঠপর্যায়ে কৃষি বিভাগের কর্মকর্তাদের জন্য যুক্ত করা হয়। আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে প্রকৃত কৃষককে ঋণ দেওয়া। কেউ যেন কৃষক সেজে কৃষিঋণের নামে ব্যাংক ঋণ নিয়ে অন্য খাতে বিনিয়োগ না করে। এতে প্রকৃত কৃষকরা ক্ষতিগ্রস্ত হবে। তাই ব্যাংক যেন এককভাবে ঋণ না দিয়ে কৃষি, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ এবং খাদ্য মন্ত্রণালয়সহ সংশিষ্ট মন্ত্রণালয়ের অধীন দপ্তরসমূহের মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের এই ঋণ কার্যক্রমে সম্পৃক্ত করে।

সর্বশেষ খবর