সোমবার, ১৮ মে, ২০২০ ০০:০০ টা

চট্টগ্রামে ক্রেতাদের ভিড়, দূরত্ব নেই ফুটপাথ ও মার্কেটে

সাইদুল ইসলাম, চট্টগ্রাম

চট্টগ্রামে ক্রেতাদের ভিড়, দূরত্ব নেই ফুটপাথ ও মার্কেটে

কোনো স্বাস্থ্যবিধি না মেনেই কেনাকাটা করতে চট্টগ্রামের মার্কেটগুলোতে উপচে পড়া ভিড় -বাংলাদেশ প্রতিদিন

মহামারী করোনা পরিস্থিতিকে পাত্তাই দিচ্ছেন না চট্টগ্রামের ক্রেতারা। রমজানের ঈদকে সামনে রেখে চট্টগ্রামের ব্যবসায়ীরা কোটি কোটি টাকার ক্ষতি হচ্ছে জেনেও সেই করোনাভাইরাসের কারণে দূরত্ব বজায় রাখাসহ নানা দিক বিবেচনা করেই চট্টগ্রাম নগরীর মার্কেটগুলো বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। নগরীর তামাকুমন্ডি লেইন মার্কেট সমিতির আওতাধীন রেয়াজউদ্দিন বাজারসহ ১১০টি মার্কেট রয়েছে। এখানে নানা কারণে অনেক মালামাল নষ্টের পথে রয়েছে। এসব মার্কেট বন্ধের মধ্যেও নগরীর রেয়াজউদ্দিন বাজারসহ কিছু কিছু এলাকায় ফুটপাথে দোকান বা মার্কেট বসিয়ে ক্রেতাদের ভিড় জমাচ্ছেন। তাছাড়া জেলার পটিয়া, হাটহাজারী, সাতকানিয়া, লোহাগাড়া, ফটিকছড়িতেও দোকান-মার্কেট খোলা রয়েছে। সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার জন্য বলা হলেও কেউ মানছেন না সরকারি নির্দেশনা।

এসব বিষয়ে নগরীর মার্কেট সমিতির নেতারা এবং প্রশাসনের দায়িত্বশীলরা কঠোর নজরদারিতে রেখে নিয়মিত মনিটরিং করা হচ্ছে বলেও জানান সংশ্লিষ্টরা।

অন্যদিকে চট্টগ্রাম স্ট্যান্ড রোড বাংলাবাজার এলাকার আলফা নিট ফ্যাশন লিমিটেডের শ্রমিক-কর্মচারীদের বেতনের দাবিতে আন্দোলন ও ঘেরাও করেছে অফিস। এতে সামাজিক দূরত্ব দূরে থাক, কেউ এমন সতর্কের কথা বললেও শ্রমিকরা বলছেন, আগে বেতন পরে সামাজিক দূরত্ব। নিজে না বাঁচলে এসব দূরত্ব বা নির্দেশনা মেনে লাভ কী। তবে প্রতিদিন কোনো না কোনো স্থানে শ্রমিকদের আন্দোলন লেগেই আছে বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।

চট্টগ্রাম হাটহাজারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. রুহুল আমীন বলেন, চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের নির্দেশনা অনুযায়ী উপজেলাকে লকডাউন করা হয়। এর পর থেকেই সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখেই সব কর্মকা  চালানো হচ্ছে। কেউ এসব নির্দেশ অমান্য করলে জরিমানাও করা হচ্ছে।

চট্টগ্রামের ব্যবসায়ী নেতারা বলছেন, সরকার স্বাস্থ্যবিধি মেনে ১০ মে থেকে মার্কেট ও শপিংমল খোলার অনুমতি দিয়েছে। কিন্তু মার্কেটে স্বাস্থ্যবিধি নিয়ন্ত্রণ কোনোমতে সম্ভব নয়, এটা ভেবে করোনা সংক্রমণ রোধে ঢাকার সঙ্গে চট্টগ্রামে সব মার্কেট বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত হয়।

সর্বশেষ খবর