সোমবার, ১৮ মে, ২০২০ ০০:০০ টা

নতুন রোগী ভর্তির জায়গা নেই চট্টগ্রামে

পুরান রোগী ‘ডিসচার্জ’ই ভরসা

রেজা মুজাম্মেল, চট্টগ্রাম

চট্টগ্রামে করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের চিকিৎসা চলছে জেনারেল হাসপাতালে ১০ শয্যার আইসিইউসহ ১১০ শয্যা, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে করোনা সন্দেহ রোগীর ৩০ শয্যার আইসোলেশন ওয়ার্ড ও বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল ইনফেকশাস ডিজিজের (বিআইটিআইডি) ৩০ শয্যায়। কিন্তু এরই মধ্যে জেনারেল হাসপাতাল ও বিআইটিআইডিতে কোনো শয্যা খালি নেই। তদুপরি সরকার চমেক হাসপাতালে করোনা রোগীর চিকিৎসায় অনুমতি দিলেও এটি পূর্ণাঙ্গরূপে প্রস্তুত করতে আরও প্রায় সাত দিন লাগবে। এখন নতুন কোনো রোগীর ভর্তির প্রয়োজন দেখা দিলে বিপাকে পড়তে হবে রোগীদের। পুরাতন রোগী ডিসচার্জ হলেই ভর্তি হতে পারবে নতুন রোগী। ফলে পুরনো রোগী ডিসচার্জই (ছাড়পত্র দেওয়া) এখন ভরসা চট্টগ্রামের রোগীদের। চমেক হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. আফতাবুল ইসলাম বলেন, ‘চমেক হাসপাতালে সাধারণ রোগীদের নিরাপদে রেখে করোনা রোগীর জন্য আলাদা ব্লক তৈরি করে চিকিৎসাসেবার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। ১০টি আইসিইউ এবং ১০০ শয্যা দিয়ে সেবা শুরু করা যাবে। গতকালই আমরা ১০০ চিকিৎসক ও  প্রয়োজনীয় উপকরণ চেয়ে স্বাস্থ্য অধিদফতরে চিঠি দিয়েছি। তবে সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করতে আরও অন্তত এক সপ্তাহ সময় লাগবে।’ তিনি বলেন, ‘করোনা চিকিৎসা একটি বিশেষায়িত পদ্ধতিতে দিতে হয়। একদল চিকিৎসক ১০ দিন কাজ করে ১৪ দিন কোয়ারেন্টাইন ও ছয় দিন বাসায় রেস্ট নেন। ফলে এখানে অতিরিক্ত জনবলের প্রয়োজন পড়ে।’ জানা যায়, করোনা শনাক্ত হয়েছেন এমন রোগীদের অধিকাংশই উপসর্গহীন। এসব রোগীকে বাড়িতে রেখেই চিকিৎসাসেবা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় স্বাস্থ্য বিভাগ।

শনাক্ত হওয়ার পর পরই তাদের ব্যবস্থাপত্র দেওয়া হচ্ছে। চট্টগ্রাম বিভাগীয় পরিচালক (স্বাস্থ্য) ডা. হাসান শাহরিয়ার কবির বলেন, ‘শনাক্ত  রোগীর মধ্যে ৮০ শতাংশেরই কোনো উপসর্গ নেই। মূলত শ্বাসকষ্টসহ মেজর কোনো সমস্যা থাকলেই তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হচ্ছে। বড় সমস্যা না থাকলে বাড়িতে রেখেই চিকিৎসা দিচ্ছি।’ 

সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, চট্টগ্রামে প্রতিদিনই বাড়ছে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা। গত পাঁচ দিনে শনাক্ত হয়েছে ৩৭২ জন। শনিবার এক দিনেই একজন সাংবাদিক, একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, ছয়জন পুলিশ সদস্যসহ ৭৫ জন আক্রান্ত হন। বর্তমানে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ৭১৬ জন। এর মধ্যে সুস্থ হয়ে হাসপাতাল ছেড়েছেন ১০০ জন এবং মারা গেছেন ৩২ জন।

সর্বশেষ খবর