বুধবার, ২০ মে, ২০২০ ০০:০০ টা

আজ থেকে ২৩ জুলাই পর্যন্ত সমুদ্রে মাছ ধরা নিষিদ্ধ

নিজস্ব প্রতিবেদক

দেশের সামুদ্রিক এলাকায় আজ থেকে ২৩ জুলাই পর্যন্ত মোট ৬৫ দিন সব ধরনের মৎস্য নৌযান কর্তৃক সব প্রজাতির মাছ ও ক্রাস্টাশিয়ান্স (চিংড়ি, লবস্টার, কাটল ফিশ প্রভৃতি) আহরণ নিষিদ্ধ করেছে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়।

গতকাল মন্ত্রণালয় থেকে এ বিষয়ে নির্দেশনা জারি করা হয়েছে। এই নির্দেশনা নৌবাহিনী সদর দফতর, জননিরাপত্তা বিভাগ, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়, সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ, পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স, কোস্টগার্ড, র‌্যাব সদর দফতর, মৎস্য অধিদফতর, নৌপুলিশ, বরিশাল, খুলনা ও চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার, সমুদ্র উপকূলীয় ১৪ জেলার জেলা প্রশাসক এবং পুলিশ সুপার, সংশ্লিষ্ট বিভাগ, জেলা ও উপজেলা মৎস্য দফতরে প্রেরণ করেছে মন্ত্রণালয়।

 নির্দেশাপত্রে সমুদ্রগামী সব চ্যানেলের উৎসমুখে সকল মৎস্য নৌযানের গমন বন্ধ করা, মৎস্য আহরণ নিষিদ্ধকরণের ব্যাপক প্রচার, মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র, মৎস্য আড়ত, বরফকল ইত্যাদিতে নিষিদ্ধকালীন মৎস্য অবতরণ না করা, কেনাবেচা বন্ধ এবং বরফ সরবরাহ না করা, মৎস্য অধিদফতরের সদর দফতরে সমন্বয় সেল খোলা, নিষিদ্ধকালীন বিদেশি মৎস্য নৌযান যাতে বাংলাদেশের সমুদ্রসীমায় মৎস্য অহরণ করতে না পারে, সে বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ, সমুদ্রগামী জেলেদের খাদ্য সহায়তা সুষ্ঠু ও যথাযথ বিতরণ নিশ্চিত করা এবং জেলা ও উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা কর্তৃক জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় করে নিষিদ্ধকাল যথাযথ বাস্তবায়নের নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে।

এসব নির্দেশনার আলোকে মৎস্য অধিদফতর বেতার-টেলিভিশনে বিশেষ বার্তা প্রচার, স্থানীয় পর্যায়ে মাইকিং, ব্যানার প্রদর্শন, লিফলেট ও পোস্টার বিতরণ, স্থানীয় প্রচারণায় কমিউনিটি রেডিওকে সম্পৃক্তকরণ, সমুদ্রে অভিযান ও মোবাইল কোর্ট পরিচালনা, মাছঘাট, আড়ত ও বাজার মনিটরিং, সার্ভেল্যান্স চেকপোস্ট হতে মৎস্য নৌযান মনিটরিং, জাতীয় ও স্থানীয় পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রচার, কন্ট্রোল রুম খোলা, বাণিজ্যিক ট্রলারের সমুদ্র যাত্রা আদেশ প্রদান বন্ধকরণ, উপকূলীয় বিভাগ, জেলা ও উপজেলায় সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের নিয়ে অবহিতকরণ সভা আয়োজনসহ নানা কার্যক্রম গ্রহণ করেছে। এসব কার্যক্রম যথাযথ বাস্তবায়নে সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের অনলাইন সভার মাধ্যমে দিকনির্দেশনা প্রদান করেছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম। তিনি বলেছেন, সমুদ্রে মাছের সুষ্ঠু প্রজনন, মাছকে বেড়ে উঠতে দেওয়া এবং অবৈধ মাছ আহরণ বন্ধের সরকারি সিদ্ধান্ত আমরা কঠোরভাবে বাস্তবায়ন করতে চাই। কাউকে আইনের বাইরে কোনো কিছু করতে দেওয়া হবে না। এ কাজে মন্ত্রী স্থানীয় প্রশাসন, নৌবাহিনী, পুলিশ, কোস্টগার্ড, র‌্যাব, নৌপুলিশসহ স্থানীয় অংশীজনদের সহায়তা কামনা করেন। মন্ত্রী জানান, ইতিমধ্যে সমুদ্রগামী ৪ লাখ ১৯ হাজার ৫৮৯টি জেলে পরিবারের জন্য ২৩ হাজার ৪৯৬ দশমিক ৯৮ মেট্রিক টন ভিজিএফ বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।

সর্বশেষ খবর