বৃহস্পতিবার, ২১ মে, ২০২০ ০০:০০ টা

কিট নেই সিলেটে পরীক্ষা কমে অর্ধেক

শাহ্ দিদার আলম নবেল, সিলেট

কিট নেই সিলেটে পরীক্ষা কমে অর্ধেক

সময়ের সঙ্গে বেড়েই চলছে করোনা সংক্রমণ। প্রতিদিন বাড়ছে করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। সংক্রমণ বাড়ায় যেখানে দাবি উঠছে পরীক্ষা বাড়ানোর, সেখানে সিলেটে কমে গেছে করোনাভাইরাস শনাক্তের পরীক্ষা। সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজের ল্যাবে কমে গেছে পরীক্ষার পরিমাণ। কিটের স্বল্পতা দেখিয়ে নমুনা পরীক্ষা আগের চেয়ে অর্ধেক কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। এতে ল্যাবে পরীক্ষার জন্য নমুনা জট লাগছে। কয়েকদিন পরপর জমা হওয়া নমুনা পাঠানো হচ্ছে ঢাকায়। এতে ফলাফল পেতে রোগীকে এক সপ্তাহ থেকে ১০ দিন পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হচ্ছে। তবে সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্র জানিয়েছে, পর্যাপ্ত বরাদ্দ থাকার পরও ল্যাব কর্তৃপক্ষ চাহিদা অনুযায়ী কিট আনছেন না। ল্যাবে কাজ কমাতে কিট সংকট দেখিয়ে কমিয়ে দেওয়া হয়েছে পরীক্ষা। পরীক্ষা স্বল্পতা ও দেরিতে রিপোর্ট আসায় দিন দিন করোনার ঝুঁকি বাড়ছে বলে মনে করছেন সিলেটবাসী।

গত ৭ এপ্রিল সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজের মাইক্রোবায়োলজি ও ভাইরোলোজি বিভাগে করোনাভাইরাস শনাক্তের জন্য চালু হয় আরটি পিসিআর ল্যাব। শুরুতে প্রতিদিন ৯৪টি করে নমুনা পরীক্ষা করা হয়। পুরো সিলেট বিভাগ থেকে নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করা হতো এই ল্যাবে। নমুনার সংখ্যা বাড়তে থাকায় প্রতিদিন দুই পর্বে ৯৪টি করে ১৮৮টি নমুনা পরীক্ষা করা হতো। কিন্তু দিন দিন করোনার উপসর্গ বেড়ে যাওয়ায় বাড়তে থাকে নমুনা সংগ্রহ। সিলেট বিভাগ থেকে প্রতিদিন কয়েকশ নমুনা আসতে থাকে ওসমানী মেডিকেল কলেজের ল্যাবে। প্রতিদিন ১৮৮টি পরীক্ষার পরও জমতে থাকে নমুনা। বাধ্য হয়ে কয়েকদিন পর পর কয়েকশ নমুনা জমিয়ে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয় ঢাকায়। কিন্তু ঢাকার ল্যাবগুলোতেও নমুনা জট থাকায় সিলেটে রিপোর্ট পেতে এক সপ্তাহ থেকে দশ দিন সময় লেগে যায়। অনেক সময় পজিটিভ রোগীরা রিপোর্ট পাওয়ার আগেই সুস্থ হয়ে ওঠেন। এমন ঘটনা ঘটেছে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ১৫ ইন্টার্ন চিকিৎসকের ক্ষেত্রে।

এক ল্যাব দিয়ে পুরো বিভাগের নমুনা পরীক্ষা সম্ভব না হওয়ায় দাবি উঠে ল্যাবের সংখ্যা বাড়ানোর। এই দাবির প্রেক্ষিতে গত সোমবার শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে উদ্বোধন করা হয় করোনা সনাক্তের নতুন ল্যাব। প্রতিদিন ল্যাবটিতে ৯৪টি নমুনা পরীক্ষা করা হবে। কিন্তু ল্যাব বাড়লেও এই মুহুর্তে সিলেটে বাড়ছে না পরীক্ষার পরিমাণ। কিট সংকটের অজুহাত দেখিয়ে ওসমানী মেডিকেল কলেজের ল্যাবে কমিয়ে দেওয়া হয়েছে অর্ধেক পরীক্ষা। গত প্রায় ১০ দিন ধরে ১৮৮টির জায়গায় পরীক্ষা হচ্ছে ৯৪টি নমুনা। আগে যেখানে ২৪ ঘন্টায় দুইবার পরীক্ষা হতো সেখানে এখন পরীক্ষা হচ্ছে একবার। ফলে ল্যাব বাড়িয়েও বাড়ানো যাচ্ছে না পরীক্ষা।

সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ডা. ময়নুল হক জানান, কিটের স্বল্পতার কারণে পরীক্ষার পরিমাণ কমানো হয়েছে। গত ১৪ মে ল্যাবের জন্য দুই হাজার কিট আনা হয়েছে। এই কিট দিয়ে ঈদ পর্যন্ত পরীক্ষা চালিয়ে যেতে চান তারা।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর